চবির সুবর্ণজয়ন্তীতে ৫ স্তরের নিরাপত্তা
চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সুবর্ণজয়ন্তীকে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান।
এ সময় তিনি বলেন, আগামী ১৮ ও ১৯ নভেম্বর দুইদিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান যাতে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সে জন্য পাঁচশতাধিক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআইসহ সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করবে। এছাড়া ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
তিনি আরও জানান, অনুষ্ঠানের প্রধান কেন্দ্রস্থল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে তোলা হবে। এছাড়া পুরো অনুষ্ঠানস্থল সিসি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
দুইদিনব্যাপি অনুষ্ঠান যাতে শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করা যায় সে জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন আলী আজগর চৌধুরী।
সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান ১৮ নভেম্বর বিকেল তিনটা থেকে শুরু হবে। প্রথমদিন বিকেল তিনটায় নগরীর চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ থেকে সুবর্ণজয়ন্তী শোভাযাত্রা শুরু হয়ে সিআরবি’র শিরীষতলায় শেষ হবে। বিকেল পাঁচটায় দেশ-বিদেশ থেকে আগত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অভ্যর্থনা দেওয়া হবে। এরপর সন্ধ্যা থেকে জিইসি কনভেনশন সেন্টারে শুধুমাত্র প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। এতে খ্যাতিমান সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লাসহ বেশ কয়েকজনশিল্পী গান পরিবেশন করবেন।
পরদিন (১৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে মূল আয়োজন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সুবর্ণজয়ন্তীর বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং ও ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিথি থাকবেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান।
অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ৭ হাজার ৮৪২ জন প্রাক্তন ছাত্র এবং ২০ হাজার ২৮৯ জন বর্তমান ছাত্র রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে ৩৫ হাজার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হবে এই সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান।
আলোচনা সভা শেষে দুপুর ১২টায় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হবে। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড দল ওয়ারফেজ, আর্টসেল ও লালন গান পরিবেশন করবেন।
(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এপি/নভেম্বর ১৭, ২০১৬)