দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশি ক্রেতাদের সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর অজুহাত দিচ্ছেন। ইপিজেটগুলোতে ট্রেড ইউনিয়নের আদলে শ্রমিক কল্যাণ অ্যাসোসিয়েশন শ্রম আইনের বিধিতে অন্তর্ভুক্ত করার যে নির্দেশনা তিনি দিয়েছেন তা লুটেরা মালিকদের বক্তব্যের শামিল বলে দাবি করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।

গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন সোমবার বিকেলে এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন।

ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের দাবি, সংবিধান, আইএলও কনভেনশন ও মানবতাবিরোধী আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুসারে সব শ্রমিকের স্বাধীনভাবে সংগঠন করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তা অস্বীকার করেছেন।

ট্রেড ইউনিয়নের এ দুই নেতার দাবি, ট্রেড ইউনিয়ন একদিকে যেমন শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায় করে, অন্যদিকে মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে শিল্প বিরোধ নিষ্পত্তি করে। যা শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি শিল্পকে বিকশিত করার মধ্য দিয়ে জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রাষ্ট্রের প্রধান হওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের উদ্যোগ মালিকদের একচেটিয়া শ্রম শোষণের পক্ষপাতিত্বের শামিল।

নেতারা শ্রমিক ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী এ ধরনের উদ্যোগকে পরিবর্তন করে ইপিজেডসহ সব কারখানায় আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুসারে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

(দ্য রিপোর্ট/সাআ/এনডিএস/আরকে/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪)