নাসিরনগরের ক্ষতিগ্রস্তরা ঘরবাড়ি নির্মাণ শুরু করেছেন
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি : নাসিরনগরের পরিস্থিতি যথেষ্ট শান্ত দাবি করে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বলেছেন, নাসিরনগরের ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের ঘরবাড়ি নির্মাণ শুরু করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ৫১টি পরিবারের মধ্যে টিন এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে কয়েকটি সংগঠন ও বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান। এ সময় পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান জানান, নাসিরনগরের পরিস্থিতি এখন যথেষ্ট শান্ত রয়েছে। ইতোমধ্যে মন্দিরে থাকা ভাঙচুর হওয়া প্রতিমা বিসর্জনও দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রশাসন ও পুলিশের লোকজন সারাক্ষণ নাসিরনগরের সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন।
সভায় পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, নাসিরনগরের পরিস্থিতি তদারকি করতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি সাখাওয়াত হোসেন শনিবার ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় এসেছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে এবং কারিগরি সহায়তা দেওয়ার জন্য পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে ৩ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ২ জন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপারসহ ১০ সদস্যের একটি দল নাসিরনগরে কাজ করছে। তাদের সবারই বিগত সময়ে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতার হওয়া আসামিদের মধ্যে মোট ৪ জন ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না। নাসিরনগরের সহিংসতায় পর্দার অন্তরালে যারা কলকাঠি নেড়েছেন তাদের সনাক্ত করা হচ্ছে।
গ্রেফতার আতঙ্ক প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এলাকায় মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হবে না বলে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। নিরাপরাধ কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সামছুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশিরুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ।
(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এপি/নভেম্বর ১৯, ২০১৬)