ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় ১৬টি ইটভাটা, সাতটি খাদ্য পণ্য কারখানা ও একটি কসমেটিকস প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কর্তৃপক্ষ।

ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোমবার এ মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে শনি ও রবিবার জেলার ৪০টি ইটভাটায় ভেজালবিরোধী অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১৬টি ইটভাটায় মানসম্মত ইট তৈরি না করা, পণ্যের গুণগত মান যাচাই ছাড়াও বিএসটিআই’র লাইসেন্স গ্রহণ কিংবা নবায়ন না করে পণ্য বিক্রি ও বিতরণ করায় এ সব ভাটার মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগগুলো মামলা হিসেবে আমলে নেওয়ার জন্য সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়।

ইটভাটাগুলো হলো- ব্রাহ্মণবাড়ীয়া পৌর এলাকার গোকর্ণ ঘাটের বন্ধন ব্রিকস, আশুগঞ্জ উপজেলার বিওসি ঘাটের মেঘনা ব্রিকস, নাসিরনগর উপজেলার রংগন ব্রিকস, বিরাসার ব্রিকস, আশা ব্রিকস, বি.বাড়ীয়া ব্রিকস, সরাইল উপজেলার কল্যাণ ব্রিকস্, নিউ কল্যাণ ব্রিকস ও নিউ সফল ব্রিকস, বিজয়নগর উপজেলার খান ব্রিকস, খাজা ব্রিকস, আখাউড়া উপজেলার হৃদয় ব্রিকস, কসবা উপজেলার শোভন ব্রিকস ও এমএস ব্রিকস।

খাদ্যপণ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- আশুগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকার জমজম পিওর ড্রিংকিং ওয়াটার, একই এলাকার জনতা পিওর ড্রিংকিং ওয়াটার, বাগানবাড়ী এলাকার নন্দন ফুড প্রোডাক্টস, আখাউড়া উপজেলা সদরের কলেজ রোডের ইসলামিয়া বেকারি, নয়াবাজার এলাকার ফ্রেশকো বেকারি, মোগড়া বাজারের বিছমিল্লাহ বেকারি ও ডলফিন ফুড প্রোডাক্টস। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিসিক শিল্প নগরীতে অবস্থিত কসমেটিকস কারখানা মুন্নী সোপ ফ্যাক্টরির বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়।

বিএসটিআই’র চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শওকত ওসমান জানান, ওই ১৬টি ইটভাটায় তৈরি ইটের গুণগত মান যাচাই ও লাইসেন্স ছাড়া পণ্য বিক্রয় এবং বিতরণ থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এসকে/এনডিএস/ এনআই/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪)