‘মাহমুদুল হক মানুষের অজেয় আখ্যান রচনা করেছেন’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ‘ভাষার অসাধারণ কারুকর্মে মাহমুদুল হক মানুষের অজেয় আখ্যান রচনা করেছেন। তার চরিত্রগুলো বিরূপ বিশ্বে নিজস্বতায় দীপ্যমান। অপূর্ব শিল্পকুশলতায় প্রকাশিত হয়েছে তার বিষয়ভুবন।’
সোমবার গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত ‘মাহমুদুল হকের কথাসাহিত্যে গদ্যশাসন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আবু হেনা মোস্তফা এনাম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আনিসুল হক ও আহমাদ মোস্তফা কামাল। সভাপতিত্ব করেন রফিক কায়সার।
প্রাবন্ধিক তার আলোচনায় বলেন, মাহমুদুল হক অত্যন্ত সচেতন অভিনিবেশে একটি রুচিশীল সাহিত্যিক গদ্য নির্মাণে অন্বেষী হয়েছিলেন। বাংলাদেশের কথাসাহিত্যে গদ্যের এই নতুন অন্বেষণ সূচিত হয়েছিল চল্লিশের দশকের শেষ প্রান্তে। মাহমুদুল হক বাংলা গদ্যভাষার সেই অন্বেষাতে সংযোজন করেন নতুন সৃজনশীলতা। যে গদ্য নিছক কলাকৈবল্যবাদের বিচ্ছিন্নতাসন্ধানী চোরাবালিতে পথভ্রান্ত নয়, বরং শিল্পের ভেতর দিয়ে নতুন রাষ্ট্রের নতুন সাহিত্যভাষা নির্মাণে বৈপ্লবিক প্রেরণাসঞ্চারী। এভাবেই তিনি স্বতন্ত্র এবং বাঙালি জাতিসত্তার অন্তর্নিহিত স্নিগ্ধতা, শক্তি ও সম্ভাবনাময় সৃষ্টিশীল ভাষা পুনর্নির্মাণের অন্যতম পুরোধা।
তাঁরা বলেন, মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক শৈল্পিক ব্যঞ্জনায় ফুটে উঠেছে মাহমুদুল হকের উপন্যাস ও গল্পে, যা বাংলা কথাসাহিত্যের ভাণ্ডারকে করেছে সমৃদ্ধ।
সভাপতির বক্তব্যে রফিক কায়সার বলেন, রসময় বৈদগ্ধ্যে অনুকরণীয় গদ্যশৈলীতে মাহমুদুল হক কথাসাহিত্য বয়ন করেছেন। ব্যক্তি অভিজ্ঞতার নিগূঢ় অঙ্গন থেকে জাতিসত্তার বৃহত্তর পরিসরকে ধারণ করে তার সৃজনকর্ম আমাদের অনিঃশেষ উজ্জীবনের উৎস হয়ে আছে।
(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এপি/এনআই/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪)