‘সাকিব-শুভর রানআউট ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে’
রবিউল ইসলাম, দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : টোয়েন্টি২০ সিরিজে টানা ২ ম্যাচ জিততে জিততে হার; ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। মুশফিক নিজেও ছিলেন ব্যর্থ! শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেননি। তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছেন, সাকিব-শুভর রানআউট ছিটকে দিয়েছে ম্যাচ থেকে। নিজের দোষ এড়িয়ে গিয়ে আরও জানালেন, সেই সময় তার ওই শর্ট খেলা ছাড়া বিকল্প ছিল না। সোমবার হতাশ কণ্ঠে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। এরই চুম্বক অংশ তুলে ধরা হয়েছে দ্য রিপোর্টের পাঠকদের জন্য-
প্রশ্ন : শ্রীলঙ্কা জিতল না আমরা হারলাম?
মুশফিক : মনে হল আমরাই ইচ্ছে করে হারলাম। এ রকম কবে শেষ ক্রিকেট খেলেছি আমার মনে নেই। এটা খুবই হতাশার। ৮০ রানে ৮ উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তারপর যতই ভালো খেলুক না কেন ১০০ কিংবা ১২০ এর মধ্যে অলআউট হতে পারত। কয়েকটা ক্যাচ আমাদের ড্রপ হয়েছে। যারা মিস করেছে তারা খুব ভালো ফিল্ডার। ওই ক্যাচগুলোই আমাদের একটু ব্যাকফুটে নিয়ে গেছে। তারপরও বলব আমরা যেভাবে শুরু করেছিলাম ১৮০ রান চেজ করা এ উইকেটে খুব কঠিন না। কিন্তু ২টি রান আউট (সাকিব ও শুভর) আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে। শুভর আউটটি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে কিন্তু সাকিবের সঙ্গে মিস কন্ট্রাকটের কারণে রান আউট।
প্রশ্ন : এভাবে আউট হলেন; তাড়াহুড়ো কিংবা পরিকল্পনার কোনো অভাব ছিল?
মুশফিক : ফিল্ডিং প্লেসমেন্ট খেয়াল করলে দেখবেন, সবকিছু উপরেই ছিল। সিঙ্গেল সহজে না বের হলে; ২-১ শর্ট খেলতে হয়। সে দিক থেকে বলব পরিকল্পনা ঠিকই ছিল। কিন্তু ২টি রান আউট আমাদের ব্যাকফুটে নিয়ে যায়। যখন এ রকম করে একটার পর একটা উইকেট পড়তে থাকে; নতুন একটা জুটি না হলে ম্যাচ জেতা খুব কঠিন হয়ে যায়। কারণ ওরা সব সময় আক্রমণে থাকে। সেদিক থেকে বলব নতুন ব্যাটসম্যানদের জন্য খেলা খুব কঠিন হয়। সেট ব্যাটসম্যান আমাদের কাউকে থাকা উচিত ছিল। ৭০-৮০ রানের ইনিংস খেললে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যেত।
প্রশ্ন : মাঠে সোহাগ গাজী এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজটি খেলোয়াড় সুলভ ছিল না?
মুশফিক : কন্ট্রেটেশন একজন-দুজনকে পয়েন্ট করাটা কঠিন ব্যাপার। যে শর্ট খেলে আমি আউট হয়েছি সেটাতেও আমার কন্ট্রেটেশনে প্রশ্ন ওঠতে পারে। আমার মনে হয় সবকিছু মিলিয়ে আমাদের যে বিষয়টি হতাশ করেছে, ৮০ থেকে ১৮০ এটা কখনোই কোনোভাবে হওয়া উচিত হয়নি। একটা বা দুইটা ক্যাচ ড্রপ হতে পারে কিন্তু ৪টি ক্যাচ ড্রপ হওয়া খুব হতাশার। ২-১ জনকে দোষ দেওয়াটা আমার মনে হয় ঠিক হবে না।
প্রশ্ন : শেষ মুহূর্তে আপনার ওই শর্ট খেলাটা কী জরুরি ছিল?
মুশফিক : জরুরি না। পেস বান্ধব উইকেট ছিল। সোজা ব্যাটে খেলাটা একটু রিস্ক ছিল। কারণ বলগুলো লাফ দিচ্ছিল। মিড-অফ ও মিড-অনে খেলোয়াড়রা উপরে ছিল। আমি ভেবেছি ব্যাক-আফ লেন্থ অথবা গুড লেন্থে বল করবে। আমি শেষ ব্যাটসম্যান ছিলাম। গাজীর আউট ওরকমই ছিল। এভাবে খেলে একটা ৪ হলে হয়ত পরে রিলাক্সে খেলতে পারতাম। এ চিন্তা থেকেই খেলা। আমি বলব পরিকল্পনা ঠিকই ছিল কিন্তু বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
(দ্য রিপোর্ট/আরআই/ওআইসি/সা/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪)