দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ২০১৩ সালের শেষদিকে জাপানের জিডিপিতে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই তিন মাসে দেশটির জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১ শতাংশ। অথচ এই সময়ে জাপানের বাজারের বিস্তৃতি ঘটেছে ২ দশমিক ৮ শতাংশ।

ব্যক্তিগত ভোগে নিম্নগতি, মূলধন ব্যয় ও রফতানি কমে যাওয়ায় দেশটির জিডিপিতে এই শ্লথ গতি দেখা দিয়েছে।

ফলে জাপানের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার স্থিতিশীলতা ও এ বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠেছে। ‘অ্যাবেনোমিকস’ নামে পরিচিতি লাভ করা শিনজো অ্যাবের সরকারের পরিকল্পনাটি কতটা সফল হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

টোকিওভিত্তিক জাপান মাক্রো অ্যাডভাইজার্স’র প্রধান অর্থনীতিবিদ তাকুজি ওকুবো বলেন, ‘জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে শ্লথ গতি থেকে অ্যাবেনোমিকসের সীমাবদ্ধতা প্রতিফলিত হয়।’

এক বছর আগে ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে জাপানি মুদ্রার অবমূল্যায়নে এক আগ্রাসী প্রণোদনা কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করেন।

আশা করা হয়েছিল এর ফলে বিশ্বব্যাপী গাড়িসহ অন্যান্য জাপানি পণ্যের বিক্রি বেড়ে যাবে। কারণ মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে ভিনদেশে জাপানি পণ্যের দাম কমে যাবে।

এই নীতির ফলে গত বছর মার্কিন ডলারের বিপরীতে জাপানি ইয়েন ১৮ শতাংশ মূল্য হারিয়েছে। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী রফতানিতে প্রবৃদ্ধি বাড়েনি। কারণ এ সময়টাতে আবার জাপানের আমদানি বেড়ে যায়। ২০১১ সালে ফুকুশিমার পারমাণবিক চুল্লিতে বিপর্যয়ের পর জাপানকে জ্বালানি ঘাটতি মেটাতে প্রচুর পরিমাণ তেল ও গ্যাস আমদানি করতে হয়।

ফলে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপান এক দীর্ঘমেয়াদি ও অটল বাণিজ্যিক ঘাটতির ফাঁদে আটকা পড়ছে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অর্থনীতিবিদরা। (সূত্র : বিবিসি)

(দ্য রিপোর্ট/এমএটি/এমডি/সা/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৪)