ব্লগার রাজীব হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ব্লগার রাজিব হায়দার শোভন হত্যা মামলায় মঙ্গলবার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম ছাবরিনা আলী অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেন এবং পলাতক আসামি রেদোয়ানুল আজাদ রানার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এ সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ২০ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে ২৯ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মন সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে আটজন আসামি ছাড়াও ৫৫ জনকে সাক্ষীসহ ৭৮ প্রকার আলামতের কথা উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা আট আসামি হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দিপু (২২), মাকসুদুল হাসান অনিক(২৬), এহসানুর রেজা রুম্মান (২৩), মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ (১৯), নাফির ইমতিয়াজ (২২), সাদমান ইয়াছির মাহমুদ (২০), মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী ও রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০)।
আসামিদের মধ্যে রানা পলাতক ও অপর আসামিরা আটক আছেন। আটক আসামিরা রাজিব হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরার পথে পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে খুন হন ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম উদ্যোক্তা রাজিব।
স্বীকারোক্তি মতে আসামিরা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামাজ কক্ষে গিয়ে একে অপর সঙ্গে পরিচিত হন। সেই সময় বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রানা তাদের জানায় জনৈক ব্লগার ‘থাবা বাবা’ ইসলাম ও মহানবী (স.) এর নামে বাজে কথা লিখছে। তাকে হত্যা করতে হবে। তা না হলে ইসলাম ও ঈমান রক্ষা করা যাবে না। এভাবেই রানা তাদের হত্যায় উদ্বুদ্ধ করেন।
রাজীবকে হত্যার জন্য ‘ইনটেল’ গ্রুপ ও ‘এক্সিকিউশন’ গ্রুপ নামে দুটি গ্রুপ তৈরি করা হয়। প্রত্যেক গ্রুপে তিনজন করে ছয়জন সদস্য ছিল। ইনটেল গ্রুপ রাজীবের ব্লগ এবং ফেসবুকে ঢুকে রাজীবের ছবি সংগ্রহ করে। এরপর ‘ইনটেল গ্রুপ’ শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে গিয়ে রাজিবকে শনাক্ত করে।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসার সামনে রাজিবকে খুন করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/জেএ/একে/জেএম/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৪)