ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
রাজশাহী অফিস : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউল করিম রুবেল গ্রাহকদের প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ‘জয়েন্ট ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি’ প্রতিষ্ঠা করে তিনি গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত হিসেবে টাকাগুলো নেন।
অবশ্য এ ব্যাপারে রেজাউল করিম রুবেল বলেন, ‘সমবায় সংশোধনী আইন-২০১৩’ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। আমি এ প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা মাত্র। ১০০ জন গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকা আমানত গ্রহণ করা হয়েছে।’
রেজাউল করিম রুবেল বাগমারা উপজেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির। এবারের উপজেলা নির্বাচনে তিনি জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হলেও আমানত ফেরত দেননি ওই জামায়াত নেতা। তিনি প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম)।
দুর্গাপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আব্দুস সালাম বলেন, ‘প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা লাভ দেয়ার কথা বলে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে রুবলের কাছে এক লাখ টাকা আমানত রাখি। লাভ তো দূরের কথা; আসল টাকা এখনও ফেরত পাইনি।’
একই ভাবে গোপালপুর গ্রামের ৬ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা আমানত গ্রহণ করেন ওই নেতা। তাহেরপুর ও আশপাশের গ্রামের অর্ধশত গ্রাহকের কাছ থেকে মোট অর্ধকোটি টাকা নিয়েছেন তিনি।
গোপালপুর গ্রামের অপর গ্রাহক ফেরদৌস আলম বলেন, ‘তাহেরপুরের এক মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে রুবেলের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। লাভের প্রলোভন দেখিয়ে আমার কাছ থেকে তিনি ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।’
এ ব্যাপারে রেজাউল করিম রুবেল বলেন, ‘গ্রাহকের টাকা দিয়ে কুমিল্লায় কোম্পানির নামে ২২ একর জমি কেনা হয়েছে। জমিগুলো বিক্রির প্রক্রিয়া চলছে। বিক্রি শেষ হলে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’
আগের প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ‘রাজশাহী সেভিন্স অ্যান্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটি’ নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান খুলে আবার সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
(দ্য রিপোর্ট/এমএইচজে/একে/জেএম/এজেড/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৪)