চট্টগ্রাম অফিস : পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৯ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস পাওয়ার পর চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট (মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ডাকা) স্থগিত করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টা দিকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের বৈঠকের পর ধর্মঘট স্থগিত করা হয় বলে জানিয়েছেন শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো. মুছা।

এ প্রসঙ্গে মো. মুছা দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিবহন শ্রমিকদের ৯ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। পর্যায়ক্রমে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস পাওয়ার পর আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ-উল-হাসান এবং চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূর ই আলম মিনার পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সম্মেলন কক্ষে প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী বৈঠকে ফলশ্রুত আলোচনা হওয়ার পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ-উল-হাসান বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তারা পরিবহন শ্রমিকদের দাবিগুলো বিবেচনায় নিয়েছেন। আগামী ৪ ডিসেম্বর মেয়রের সঙ্গে একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে মেয়র ও পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরা হবে।

উল্লেখ্য, আন্তঃজেলা সড়ক, উত্তর চট্টগ্রামের জন্য বাস, কোচ, ট্রাক, প্রাইমোভার ট্রেইলার টার্মিনাল নির্মাণ, পুলিশের হয়রানী ও নির্যাতন বন্ধ, চট্টগ্রাম মহানগরীতে বাস, মিনিবাস, হিউম্যান হলার, অটোরিকশা, অটোটেম্পু পার্কিং স্পোট নির্ধারণ, সরকার কর্তৃক ঘোষিত শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের টাকা সহজ পদ্ধতিতে প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, ২০১৩ সালের ১৩ই মার্চ তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ও ৯ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে চট্টগ্রাম বি.আর.টি.এ এর সার্কুলারের মাধ্যমে ঘোষণাকৃত ৪ হাজার অটোরিকশার অবিলম্বে রেজিষ্ট্রেশন প্রদান, সন্ত্রাসী কায়দায় সড়ক পরিবহন শ্রমিক সংগঠন দখল করার পায়তারা বন্ধ, বিআরটিএ ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুগ্ম শ্রম পরিচালক দপ্তরের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদসহ ৯দফা দাবীতে মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে পরিবহণ ধর্মঘট শুরু করে শ্রমিকরা। এতে যাতায়তের জন্য পরিবহনের অভাবে সকাল থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রামে হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

(দ্য রিপোর্ট/এস/জেডটি/নভেম্বর ২৯, ২০১৬)