‘তরুণ প্রজন্মের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে হবে’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ‘আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে তরুণ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার গুণগত পরিবর্তনের পাশাপাশি বর্তমান যুগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মঙ্গলবার দুপুরে ‘বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ’ আয়োজিত ‘জেন্ডার সংবেদনশীলতা ও প্রজনন স্বাস্থ্য : ২০১৩ সালের মাধ্যমিক শ্রেণিতে পাঠ্য বইয়ের বিষয় বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব মন্তব্য করেন।
মতবিনিময় সভার শুরুতে প্রগতি সংঘের পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে গবেষণার ফলাফল হস্তান্তর করেন সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর। একই সময় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমানের কাছেও ফলাফল হস্তান্তর করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে পাঠ্য বইয়ে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ গবেষণার ফলাফল গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে। জেন্ডার সংবেদনশীলতা ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে জ্ঞান থাকা খুবই জরুরি। এ বিষয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের ধারণা দিতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।’
মতবিনিময় সভায় গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষণা কর্মের মুখ্য গবেষক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘অনেক পরিবর্তন হলেও এখনও পাঠ্য বইকে পুরোপুরি জেন্ডার সংবেদনশীল করা যায়নি। এ লক্ষ্যে আরও কাজ করা প্রয়োজন।’
নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর বলেন, ‘প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে যথাযথ ধারণা থাকার অভাবে নারীদের বহু সমস্যায় পড়তে হয়। পাঠ্যবইয়ে এ সম্পর্কে আলোচনা থাকলে শিক্ষার্থীরা অনেক উপকৃত হবে।’
এনসিটিবির চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আপনাদের গবেষণার ফলাফল ও পরামর্শ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করব। অন্য যে কেউ পাঠ্যবই বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতে পারেন।’
মতিবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সিদ্দীকুর রহমান, ব্রাকের জেন্ডার, জাস্টিস, ডাউভার্সিটি এবং মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পরিচালক শিখা হাফিজ।
(দ্য রিপোর্ট/এসআর/একে/জেএম/আরকে/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৪)