দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ শাখায় স্থান পেয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটিতে অর্থাৎ পহেলা বৈশাখের সকালের অন্যতম আকর্ষণ এই মঙ্গল শোভাযাত্রা, যেখানে ফুটে ওঠে বাঙালির সুদীর্ঘ ঐতিহ্যের পরিচয়। সেই মঙ্গল শোভাযাত্রাকে এবার বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) ইউনেস্কোর ওয়েবসাইটে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ইথিওপিয়ার আদ্দিসআবাবায় সংস্থার ইন্টার-গভর্নমেন্টাল কমিটির ১১তম সেশনে মঙ্গল শোভাযাত্রাকে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা সম্পর্কে সেখানে বলা হয়েছে, বাংলা বছরের প্রথম দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এই শোভাযাত্রার আয়োজন করেন। এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে। প্রতিবছর ১৪ এপ্রিল এই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে অপশক্তি দূরে থাকবে এবং উন্নত ভবিষ্যৎ পাওয়া যাবে। এই শোভাযাত্রা বাংলাদেশের মানুষের লোক-সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে প্রকাশ করে। সেই সঙ্গে অপশক্তির বিরুদ্ধে তাদের লড়াই করার ক্ষমতা এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার সাহসকেও প্রকাশ করে।

ইউনেস্কোর ওয়েবসাইটে বলা হয়, মঙ্গল শোভাযাত্রা গণতন্ত্রের জন্য সংহতি, বিভিন্ন সম্প্রদায়, ধর্ম, লিঙ্গভেদে দেশের মানুষের ঐক্যও প্রকাশ করে।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে সামরিক শাসনে হতাশ ছাত্রসমাজ একটি উন্নত ভবিষ্যতের চিন্তায় বাংলাদেশের মানুষকে একস্থানে জমায়েত করতে চেয়েছিল। সেই থেকে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় অংশ নিতে প্রতিবছর পহেলা বৈশাখের ভোরে শত শত মানুষ উৎসাহভরে ভিড় জমান।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/এনআই/নভেম্বর ৩০, ২০১৬)