দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : তাইওয়ানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়েছিল ১৯৭৯ সালে। ট্রাম্পের ট্রানজিশন দলের কর্মীরা বলেছেন, নিজেদের মধ্যে ফোনালাপে ট্রাম্প এবং তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন দুজনই অর্থনৈতিক রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে কথা বলেছেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, এই পদক্ষেপ অবশ্য চীনকে বিরক্ত করতে পারে। কারণ তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্নতাকামী প্রদেশ হিসেবে উল্লেখ করে থাকে চীন।

ওই দ্বীপটিকে লক্ষ্য করে চীনের শত শত মিসাইল প্রস্তুত বলে বলা হয় এবং প্রয়োজনে জোর করে এর কর্তৃত্ব নেয়ারও হুমকি রয়েছে চীনের পক্ষ থেকে। যদিও সর্বশেষ এই ঘটনার পর বেইজিং এর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি।

ট্রাম্প সাইকে গত জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ের জন্য অভিনন্দনও জানান। ৫৯ বছর বয়সী তাইওয়ানের এই প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট তাইপে এবং বেইজিংয়ের সম্পর্ক বদলানোর বিষয়ে আশাবাদী।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল কমিশন সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কমিশন আরও বলছে, নিত্যনতুন প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে বর্তমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকার্যকর হতে পারে ।

সরকার এবং প্রাইভেট সেক্টরের মধ্যে আরও সমন্বয় তৈরির ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই রিপোর্টকে গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি ট্রাম্পের অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব হস্তান্তরে কর্মরত দলকে জানাতে পরামর্শ দিয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এআরই/এনআই/ডিসেম্বর ০৩, ২০১৬)