দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাদ বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের ঘটনায় মেকানিক্যাল-টেকনিক্যাল ফ্যাক্টর, ইনভায়রনমেন্টাল ফ্যাক্টর ও হিউম্যান ফ্যাক্টরকে (মনুষ্যসৃষ্ট) ভিত্তি করে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ ক্ষেত্রে মনুষ্যসৃষ্টের কারণেই ফ্লাইটের ত্রুটির জন্য দায়ী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের অবহেলা, নাকি নাশকতা, তা নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট এজেন্সি খতিয়ে দেখছে। তবে বিমানের অয়েল সেন্সরের পাশে অবস্থিত অয়েল বি-নাট ঢিলের কারণে অয়েল লিকেজে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি তুর্কমেনিস্তানে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছে বলে ওই ঘটনার জন্য গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির দেওয়া তদন্ত রিপোর্টে পাওয়া গেছে।

১০ম জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ (১৩তম) অধিবেশনে রবিবার (৫ ডিসেম্বর) মাগরিবের নামাজের বিরতির পর ৩০০ বিধিতে এক বিবৃতিতে রাশেদ খান মেনন সংসদকে এসব কথা জানান।

বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী সংসদকে জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ভিভিআইপি বিজি ১০১১ ফ্লাইটটি গত ২৭ নভেম্বর স্থানীয় সময় ৮টা ৫৭ মিনিটে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টের উদ্দেশে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। যাত্রা শুরুর ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর বিমানের পাইলটের দৃষ্টিগোচর হয় যে, বাম ইঞ্জিনে অয়েল প্রেসার কম দেখাচ্ছে। এ ঘটনায় কোনোরকম ঝুঁকি না নিয়ে নিকটবর্তী তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাদ বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয় বিমানটি। এ ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অধীনেও পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ইতিমধ্যে ৩০ নভেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ৪ ডিসেম্বর বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেছে। উভয় প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিমানের অয়েল সেন্সরের পাশে অবস্থিত অয়েল বি-নাট ঢিলের কারণে অয়েল লিকেজ হয়। ফলশ্রুতিতে অয়েল প্রেসার কমতে থাকে।

তিনি বলেন, বিমানের এই এয়ারক্রাফটি ইন্সপেকশনের সময় যে ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছিল, তার রেক্টিফিকেশনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৬ জনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন ওপর ভিত্তি করে আরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এপি/এম/ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬)