দৈত্যাকৃতির মূর্তি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বিশ্বে দৈত্যাকৃতির মূর্তির অভাব নেই। বিশালাকৃতির এই মূর্তিগুলো দেখলে চোখে ধাঁধা লেগে যায়। ঢাউস বা ম্যাগনাম সাইজের মূর্তি তৈরি মোটেও সহজ কাজ নয়। কিন্তু শিল্পকলার ইতিহাসে বিশালাকার এমন সব স্ট্যাচুর উদাহরণও কম নয়।
এখানে রইল তেমন ৯টি প্রকাণ্ড মূর্তির সন্ধান-
লন্ডন ইংক সুইমার
লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজ এবং সিটি হলের মধ্যবর্তী স্থানের জমিতে সাঁতার কাটছেন এই ভদ্রলোক। লম্বায় ৪৬ ফিট এবং ১০ ফিট উঁচু এই স্থাপত্যটি সত্যিই সুন্দর।
লুই বুর্জোয়ার মাকড়সা
এত বড় মাকড়সা বোধ হয় হ্যারি পটারের সিনেমাতেও দেখা যায়নি। ব্রোঞ্জের তৈরি ৩০ ফিটের এই মাকড়সাটি লন্ডনের স্টেট গ্যালারির মডার্ন আর্ট বিভাগের বাইরে রাখা রয়েছে। ৯৫ বছরের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে এই স্থাপত্যটির সঙ্গে।
দ্য মোনিওয়া বুদ্ধ
মিয়ানমারে অবস্থিত এই শায়িত বুদ্ধমূর্তিটির দৈর্ঘ্য ৩০০ ফিট। ১৯৯১ সালে এটি তৈরি করা হয়।
দ্য ম্যাজিক ট্যাপ
এই কল যেন হাওয়ায় ভাসছে। স্পেনের কাদিজের ওয়াটার থিম পার্ক অ্যাকোয়াল্যান্ডে এই কলটি রয়েছে। সারা দিন পানি পড়ে এই কল থেকে। আসলে ওই পানির মধ্যেই একটি সরু পাইপ লুকিয়ে রাখা আছে, যা দেখা যায় না।
মনস্টার শ
টোকিওর আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীশালার বাইরে রাখা ১৫.৪ মিটার উঁচু এই করাতটি দেখলেই মনে হবে কোনো দানবের হাত থেকে এটি খসে পড়েছে।
ড্রিমিং গার্ল, সেন্ট হেলেন
লিভারপুল এবং ম্যানচেস্টারের ঠিক মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত এই মূর্তিটি দেখলেই মনে হবে যেন স্বপ্নে বিভোর হয়ে রয়েছে মেয়েটি।
ফরেভার মেরিলিন
মেরিলিন মনরোর এর থেকে বড় মূর্তি বিশ্বের আর কোথাও নেই। মূর্তিটি তৈরি করেছিলেন সেওয়ার্ড জনসন। ২০১১ সালে এই মূর্তিটির উদ্বোধন হয়। প্রথমে শিকাগোতে এই মূর্তিটি থাকলেও পরে এই মূর্তিকে ক্যালিফোর্নিয়ার পাম স্প্রিংস ক্লাবের সামনে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়।
স্পুনব্রিজ অ্যান্ড চেরি
এই স্থাপত্যটিও রয়েছে ইংল্যান্ডে। ১৯৮৮ সালে এই এর তৈরির কাজ শেষ হয়। চামচটির ওজন প্রায় ৫৮০০ পাউন্ড এবং চেরিটির ওজন ১২০০ পাউন্ড।
বিশাখাপত্তমের পুতুল
ভারতের বিশাখাপত্তমের এই পুতুলটি বিশ্বের সব থেকে বড় পুতুলের মূর্তি। ২০১০ সালে এটি তৈরি করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/এফএস/এনআই/এম/ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬)