‘আমার লেখা আমার নিজের জন্য’
পেশায় সাংবাদিক মামুন রশীদ প্রায় দেড় দশক ধরে সাহিত্য ও সাংবাদিকতার জগতে বিচরণ করছেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক মানবকণ্ঠের সহকারী সম্পাদক। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- কালোপাতা, ওড়ো সাদাছাই, কুশল তোমার বাঞ্ছা করি, তোমার পড়ে মেঘ জমলে, বাংলাদেশের কবিতা, সৃজনে অর্জনে, ডাইনি বুড়ি ও অন্যান্য গল্প, সবুজ বাড়ির ভূত, ডিরোজিও। দ্য রিপোর্টের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- মুহম্মদ আকবর
এবারের মেলায় আপনার কী কী বই আসছে?
এবার বইমেলায় আমার একটি বই আসছে। কবিতার বই। ‘তিন ফর্মার পেপারব্যাক’ বইটি আমার চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ। প্রকাশ করেছে মানুষজন প্রকাশনী।
বইয়ের বিষয়, প্রকরণ সম্পর্কে বলবেন কী ?
বইটিতে মোট চল্লিশটি কবিতা রয়েছে। সব কবিতাই লেখা হয়েছে গত এক বছরে। গত বছরের শুরু থেকেই পেশাগত লেখার বাইরে, যা লিখে আমি স্বস্তি পাই, আনন্দ পাই, তার কিছুই লিখতে পারছিলাম না। এক ধরনের অস্থিরতা ঘিরে রেখেছিল। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিনলিপি লেখার চিন্তা থেকেই ডায়েরিতে তারিখ দিয়ে লেখা শুরু করি। কিন্তু দেখতে পাই দিনলিপি লেখার জন্য যে নিখাঁদ গদ্য প্রয়োজন, তার বদলে আমার কলমে ভর করেছে পদ্যগন্ধী শব্দমালা। ফলে দিনলিপিই লিখি, তবে তা পদ্যঢঙে। বছর শেষে জমা হওয়া চল্লিশটি দিনলিপি নিয়েই আমার এই বই। সত্যিকার অর্থে আমার লেখা আমার নিজের জন্য, আমার আনন্দের জন্য। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমার লেখায় উঠে আসে ব্যক্তি আমি। এই বইয়ের লেখাগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়। আর কবিতার শিরোনাম হিসেবে তারিখের ব্যবহার আগেও অনেকে নানাভাবে করেছেন, তাই আমার লেখার শিরোনামে তারিখ ব্যবহারের মাঝেও কোনো নতুনত্ব নেই।
তরুণরা বই প্রকাশ করতে সাধারণত কী কী সমস্যার সম্মুখীন হন?
তরুণদের বই প্রকাশ করা তো সত্যিকার অর্থে ভাগ্যের ব্যাপার। কারণ আমাদের সৃজনশীল বইয়ের যারা প্রকাশক, তারা কেউই তরুণদের বই প্রকাশের ঝুঁকি নিতে চান না। অবশ্য ঝুঁকি না নিতে চাওয়াতেও প্রকাশকদের দোষ দেওয়ার কিছু নেই। কারণ, তারা যে বিনিয়োগ করবেন, লাভ না হোক, মূলও যদি ফেরত না আসে, তাহলে তার পক্ষে তো ঝুঁকি নেওয়া কঠিন। আর তরুণদের বই যারা প্রকাশ করেন, সেখানে বেশিরভাগ সময়েই থাকে অলিখিত বাণিজ্য। ব্যতিক্রমকে যেহেতু আমি উদাহরণ বলে মনে করি না, তাই এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমের কথা নাই বা বললাম।
এবারের মেলায় বই কেনার পরিকল্পনার কথা বলুন...
বই কেনার পরিকল্পনা তো থাকেই। পড়তে ভালো লাগে উপন্যাস। সেই সঙ্গে আমি বিষয়ভিত্তিক বই পড়ি। এখন আত্মজীবনী এবং ইতিহাস বইয়ের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। সারাবছরই তো বই কেনা হয়, তবে বইমেলায় যেহেতু একসঙ্গে নানারকম বই দেখার সুযোগ হয় তাই এবারের মেলা থেকে আত্মজীবনীগুলো কেনার চেষ্টা করব। আর সতীর্থদের কবিতার বই কিনব।
(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এপি/এনআই/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৪)