দিল্লিতে মমতা-আন্না বৈঠক
কলকাতা প্রতিনিধি : দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় আন্না হাজারের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দিল্লিতে সরকার গঠন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন ‘সরকারে যেই আসুক না কেন, আমরা চাই গণতন্ত্র বজায় থাকবে।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে আগে অনেকেই নানারকম প্রতিশ্রুতি দেয়। সরকার থেকে বিদায় নেওয়ার আগেও নানা রকম কথা বলে। কিন্তু আমি সেই নীতিতে বিশ্বাসী নই।’
মমতা বলেন, ‘দিল্লিতে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবে এমন সরকার চাই। এমন সরকার চাই যে সরকার স্থায়িত্ব দিতে পারবে।’
আন্না হাজারে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘উনি (আন্না) একজন শ্রদ্ধেয়, বয়স্ক ব্যক্তি। উনি আমাদের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আন্নার সঙ্গে আগে কখনও দেখা হয়নি এই প্রথম তার সঙ্গে কথা হবে। আমি খুশি ও কৃতজ্ঞ যে তার সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছি।’
তবে বৈঠকে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে সে ব্যাপারে মুখ খোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে আন্নার সঙ্গে বৈঠকের পরই মমতা জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা বাড়ানোর পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদী, রাহুল গান্ধী, জয়ললিতা, মুলায়ম সিং যাদব বা মায়াবতীর মতো নিজেকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরার ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে যাবেন। এর পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনের আগেই আন্না হাজারেকে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় প্রচারে পাশে পাওয়ার লক্ষ্যে তিনি নতুন করে কংগ্রেস ও বিজেপি’র বাইরে ফেডারেল ফ্রন্টের ডাক দিতে পারেন। আম আদমি পার্টির সঙ্গেও তৃণমূল কংগ্রেসের সমঝোতায় হাজারে হস্তক্ষেপ করতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের বিগত বামফ্রন্ট সরকার সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বামফ্রন্ট ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে আর সেই ভার আমাদের বইতে হচ্ছে।’
ক্ষমতায় আসার আড়াই বছরের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ৭০ হাজার কোটি রুপি কেটে নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর বলেন, এই সরকারের আমলে জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরে এসেছে, পাহাড়েও কোনো অশান্তি নেই।
(দ্য রিপোর্ট/এসএম/এসকে/আরকে/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৪)