টাঙ্গাইল পতিনিধি : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার রকিবুল ইসলাম ফরিদকে (৪৫) গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

তিনি উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের ভারই গ্রামের আব্দুল মজিদ মাস্টারের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, ফরিদ উদ্দিন স্থানীয় কাগমারি পাড়া এলাকার একটি ডালের ফ্যাক্টরিতে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের মতো সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে বাড়ি হতে তার কর্মস্থলে চলে যান। পরে ওইদিন রাতে তিনি আর বাড়ি ফিরেননি। পরদিন সকালে তার লাশ বাড়ির পাশে পুকুরে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা তার বাড়ির লোকজনদের খবর দেয়।

নিহতের কর্মস্থল কাগমারী পাড়া এলাকার চায়ের দোকানদারসহ একাধিক দোকানদার জানায়, তিনি রাত ১০টা পর্যন্ত বাজারেই অবস্থান করেন। সবার সাথে বসে চা খেয়েছেন এবং আড্ডাও দিয়েছেন। ১০টার পর আর আমরা তাকে দেখতে পাইনি।

রকিবুল ইসলাম ফরিদেরস্ত্রী লিজা বেগম দ্য রিপোর্টকে জানান, আমার স্বামী বাড়ি হতে তার কর্মস্থল কাগমারী পাড়া চলে যায়। রাত অনেক হয়ে গেলে আমি তার মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। মাঝে মধ্যেই কাজের চাপে তিনি বাড়ি আসতেন না।

তিনি বলেন, পরদিন সকালে আমি বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজ নিতে থাকি। এ সময় আমাদের বাড়ির কাজের লোক আমাকে জানায়, ফরিদ ভাইয়ের প্যান্ট ও শার্ট বাড়ির পাশে পুকুরে পাড়ে আছে। এ কথা শুনে আমি দৌড়ে ওই জায়গায় গিয়ে তার পরিহিত প্যান্ট-শার্ট পড়ে থাকতে দেখি। পরে আশপাশে খোঁজ নিতে থাকি। তার লাশ পুকুরে ভাসতে দেখে আমি চিৎকার দিই। লোকজন ছুটে এসে আমার স্বামীর লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করে। আমার স্বামী নিরপরাধ ছিল। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।

ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোস্তফা কামাল দ্য রিপোর্টকে জানান, আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা রকিবুল ইসলাম ফরিদসোমবার রাতে কোন এক সময় কে বা কারা গলা কেটে হত্যা করেছে তা এখনও আমরা জানতে পারিনি। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছোরা উদ্ধার করেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতিও চলছে। অপরাধীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(দ্য রিপোর্ট/কেএনইউ/এআরই/এনআই/ডিসেম্বর ০৬, ২০১৬)