দ্য রিপোর্ট ডেস্বক : আপনি কি সব সময় নার্ভাস থাকেন। মাথায় বেশি কাজের চাপ পড়লে, নতুন কিছু শিখতে হলে বা অচেনা জায়গায় একা যাওয়ার কথা ভাবলেই নার্ভাস হয়ে পড়েন? অচেনা মানুষের সঙ্গে প্রথম আলাপে বোকা বোকা হয়ে যান? অকারণে ঘামতে থাকেন, দাঁত দিয়ে নখ কাটতে থাকেন?

চাইলে এই নার্ভাসনেস আপনি কাটিয়ে উঠতে পারেন। কিছু বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে আপনি এই নার্ভাস অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। ওয়েব হেলথ ওয়াচ থেকে তেমন কয়েকটি বিষয় দেওয়া হলো—

হাসুন

প্রাণ খুলে হাসুন। হাসি ভালো হরমোন ক্ষরণে সাহায্য করে। যা মন খুশি করে। এমন মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান যারা আপনাকে হাসতে সাহায্য করেন। একা থাকলেও ভালো চিন্তা করে হাসুন।

এক্সারসাইজ করুন

প্রতিদিন কিছুটা সময় এক্সারসাইজ করুন। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালণ ভালো হবে। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। স্ট্রেস কাটবে।

ঘুরতে যান

মাঝে মাঝেই নিজের পছন্দের কোনও জায়গায় যান। যেই জায়গায় গেলে আপনি খুশি হয়ে যান, মন ভালোলাগায় ভরে ওঠে। যদি না যেতে পারেন তাবে মন সেখানে নিয়ে যান। বসে বসে সেই জায়গার কথা ভাবুন। মন খুশিতে ভরে উঠবে। স্ট্রেস দূর হবে।

চিন্তা করা বন্ধ করুন

নিজের জীবন নিয়ে বেশি চিন্তা করলে, ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখলে নার্ভাসনেস বাড়ে। অন্যদের কথা ভাবুন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। দেখবেন নিজের জীবনের সমস্যাগুলোও সহজ মনে হচ্ছে।

গান শুনুন

পছন্দের গান শুনুন, সিনেমা দেখুন বা বই পড়ুন। যা করতে ভালো লাগে করুন। এতে নিজেকে ভালো করে চিনতে, বুঝতে শিখবেন।

যোগাযোগ তৈরি করুন

একা একা সময় কাটাবেন না। বন্ধুদের সঙ্গে, পছন্দের মানুষদের সঙ্গ, আপনার প্রতি সহমর্মী মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। সময় কাটান।

জীবন উপভোগ করুন

জীবনে কী ঘটতে চলেছে, কী হবে তা নিয়ে না ভেবে যা কিছু পেয়েছেন, যা রয়েছে তার মূল্য দিন। কৃতজ্ঞ থাকুন। জীবন উপভোগ করুন।

মনোযোগ দিয়ে কাজ করুন

একটা কাজ করার সময় অন্য কাজের চিন্তা করবেন না। এতে মনসংযোগ হবে না, নার্ভাস হয়ে পড়বেন। যখন যেই কাজটা করবেন, সেই কাজেই মন দিন। মনসংযোগ বাড়লে নার্ভাসনেস কমবে।

(দ্য রিপোর্ট/এফএস/ডিসেম্বর ০৬, ২০১৬)