চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে হামলার ঘটনায় দুই মামলা
চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়।
প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ বাদী হয়ে একটি এবং হামলার শিকার বাংলা নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি রমেন দাশ গুপ্ত বাদী অপর মামলাটি দায়ের করেন।
দায়েরকৃত মামলা দুটিতে আটক চার যুবকের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রথম মামলায় প্রেস ক্লাবে হামলা-ভাঙচুর, হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টাকালে প্রেস ক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার ও বিএফইউজের (একাংশ) যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অপরদিকে কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ছবি মুছে ফেলা এবং সাংবাদিকদের হুমকি ধমকি, একুশে টেলিভিশনের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন বাংলা নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার রমেন দাসগুপ্ত। এতে আটক ৪ জনসহ ২৫-৩০ জন অজ্ঞাত যুবককে আসামি করা হয়েছে বলে জানান কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রেস ক্লাব এবং সাংবাদিকদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আটক ৪ জনকে দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে এ ৪ যুবক হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। বাকিদেরও চিহ্নিত করে গ্রেফতার অভিযান শুরু হবে।
আটক চারজন হলেন, অজয় দত্ত (২০), নয়ন সরকার (২১), পিয়াল শর্মা (২০) ও অনুভব মজুমদার (২১)।
এ ঘটনার আটক চার যুবককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫১ ধারা অনুযায়ী তাদের বুধবার (৭ ডিসেম্বর) মুখ্য হাকিমের আদালতে হাজির করার পর আদালত যুবকদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঐক্যবদ্ধ সনাতন সমাজ, বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠনের মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় চার সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে তারা।
বিকেলে প্রেস ক্লাব ভবনের প্রধান ফটক এবং সামনের সড়ক অবরুদ্ধ করে মানববন্ধন করছিল তারা। এ সময় সাংবাদিকরা প্রেস ক্লাব ফটক ও সড়ক বন্ধ না করার অনুরোধ করলে তারা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা শুরু করে। এ সময় তারা সাংবাদিকের গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালায়। এ ছাড়া সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে নিজেরাই ছবি মুছে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং চারজনকে আটক করে। হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে কোতোয়ালি থানার এসআই বিকাশ চন্দ্র শীলও মাথায় আঘাত পান।
(দ্য রিপোর্ট/এইচ/এমকে/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬)