দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আগামী শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দেশের দুই কোটি ১০ লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

 

জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান আগামী ১০ ডিসেম্বর (শনিবার) জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন করতে যাচ্ছে। এ দিনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। একই সঙ্গে শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোসহ অন্যান্য পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুদের রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করতে চাই।’

বর্তমানে ভিটামিন-এ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার শতকরা এক ভাগের নিচে রয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাম্পেইনের দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে। শিশুদের ভরা পেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। কাঁচি দিয়ে ভিটামিন-এ ক্যাপসুলের মুখ কেটে ভেতরে থাকা তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হবে। জোর করে বা শিশুরা যখন কান্নাকাটি করে তখন যেন ক্যাপসুল খাওয়ানো না হয়।’

দেশব্যাপী এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রসহ অতিরিক্ত ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম পরিচালিত হবে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, ব্রিজের টোল প্লাজা, বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, খেয়াঘাট ইত্যাদি স্থানে অবস্থান করবে। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে তিনজন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবে।’

তিনি বলেন, ‘দুর্গম এলাকায় ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য পরবর্তী চারদিন (১১ থেকে ১৪ ডিসেম্বর) বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘কিছু লোক আছে কোন ভাল কাজ সুন্দরভাবে হোক তা তারা চায় না। বিভিন্ন সময় তারা রিউমার ছড়ায় যে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ালে শিশুদের ক্ষতি হতে পারে-এদিকে আপনারা লক্ষ্য রাখবেন। ভিটামিন-এ ক্যাপসুল শিশুদের জন্য আমাদের সকলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ভিটামিন-এ ক্যাপসুল না খাওয়ালে রাতকানাসহ শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।’

ক্যাম্পেইনের ব্যয়ের বিষয়ে একজন সাংবাদিক জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ক্যাম্পেইনে প্রতিটি শিশুর জন্য আট টাকা খরচ হয়। বছরে দুই রাউন্ডে সরকারের ব্যয় প্রায় ১৪ কোটি টাকা।

এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এমকে/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬)