দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহের অবসান ঘোষণা করেছে দেশটির এম২৩ বিদ্রোহীরা। গত দুই সপ্তাহ ধরে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারি বাহিনীর লাগাতার আক্রমণে বিদ্রোহীরা দেশটির উগান্ডা ও রুয়ান্ডা সীমান্তে কোণঠাসা হয়ে পড়লে তারা অস্ত্র ত্যাগ করে সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনায় বসার ঘোষণা দেয়।

এর আগে আফ্রিকা অঞ্চলের নেতার অনেক দিন ধরেই সংগঠনটিকে তাদের বিদ্রোহ ত্যাগ করে দেশটির প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলার সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের কথা বলছিলেন।

এম২৩ নেতা বারট্রেন্ড বিসিময়া এক বিবৃতিতে বলেন, সরকারের শর্তানুসারে সাধারণ কর্মচারীদের প্রধান এবং সব গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের অধিনায়ককে তাদের সেনাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ, পুন:একত্রিকরণ এবং অব্যাহতির জন্য প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।

কঙ্গো থেকে আলজাজিরার প্রতিনিধি ম্যালকম ওয়েভ জানিয়েছেন, দেশটির সরকার পুন:দখল করা এলকায় প্রচুর সেনা মোতায়েন করে দৃঢ় অবস্থান নিচ্ছে। পাশাপাশি সীমান্ত শহর বোনাগানা পুন:দখলের মধ্যে দিয়ে দেশটি এম২৩ এর অস্ত্র ও অন্যান্য সম্পদ পেতে কঠোর অবস্থানে যেতে পারে বলে জানান তিনি।

কঙ্গোর সরকারের মুখপাত্র লওরেন্ট ম্যান্ডে জানিয়েছেন, বিপুল সংখ্যক বিদ্রোহীরা আত্মসমর্পণ করছিল এবং সরকার তাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় যেতে প্রস্তুত ছিল।

ম্যান্ডে আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে কোনো নিয়মবহির্ভূত দলের জায়গা নেই। পরাজিত এই এম২৩ ছিল তাদের তালিকার শীর্ষে। তারা রুয়ান্ডার বিদ্রোহী এফডিএলআর-এর স্থলভিষিক্ত হয়েছিল। আমরা তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে বিজয় লাভ করতে যাচ্ছি।’

এর আগে ২০১২ সালের এপ্রিলে দেশটির নর্থ কিভু প্রদেশের রাজধানী গোমা থেকে এম২৩ গোষ্ঠীর বিদ্রোহ শুরু হয়। বিদ্রোহীরা এর আগে কঙ্গো সেনাবাহিনীর অংশ ছিল। কিন্তু ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিক নয় বলে অভিযোগ করে তারা সেনাবাহিনী ত্যাগ করে। এ কারণে তারা এম২৩ বিদ্রোহী হিসেবে পরিচিত। কঙ্গোর এ গৃহযুদ্ধে অন্তত ৮ লাখ মানুষ তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।

(দিরিপোর্ট২৪/এআইএম/জেএম/নভেম্বর ০৬, ২০১৩)