‘মীর কাসেমের নির্দেশে বাবাকে হত্যা করা হয়’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধের সময় মীর কাসেম আলীর নির্দেশে তার বাবাকে হত্যা করা হয় বলে আদালতে সাক্ষ্য দেন শিবু দাস।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দিগন্ত মিডিয়ার চেয়ারম্যান ও জামায়াতের নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ৫ম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন তিনি।
প্রসিকিউশনের পঞ্চম সাক্ষী শিবু দাস (৪৬) বলেন, ‘৭১ সালের নভেম্বর মাসের দিকে মীর কাসেম আলীর নির্দেশে বাবা রণজিত দাসকে চট্টগ্রাম শহরের হাজারী লেনের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় আল বদর সদস্যরা।’
‘পরে বদর বাহিনীর আঞ্চলিক হেডকোয়ার্টার ডালিম হোটেলে আটক রেখে বাবাকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের এ কথা আমার মা ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী প্রভা রানী দাসের কাছ থেকে শুনেছি’ বলেন সাক্ষী।
মঙ্গলবার চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন তিনি। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষ। এরপর ষষ্ঠ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য মামলার কার্যক্রম বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
আদালতে সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণে সহায়তা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (প্রসিকিউটর) জেয়াদ আল মালুম, সুলতান মাহমুদ সীমন, রেজিয়া সুলতানা চমন প্রমুখ।
সাক্ষ্যে শিবু দাস বলেন, ‘আমরা তিন ভাই, তিন বোন। ৭১ সালে আমার বয়স ছিল তিন বছর। ফলে বাবার কোনো স্মৃতি আমার মনে নেই। পরে বড় হয়ে মার কাছ থেকে আল বদর বাহিনীর হাতে বাবার হত্যাকাণ্ডের কাহিনী শুনেছি।’ সাক্ষ্য শেষে আসামির কাঠগড়ায় থাকা মীর কাশেম আলীকে শনাক্ত করেন সাক্ষী।
শিবু দাসকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন এডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন, আহমেদ বিন কাসেম প্রমুখ।
এর আগে সকালে রাষ্ট্রপক্ষের চতুর্থ সাক্ষী সুনীল কান্তি বর্ধন ওরফে দুলালকে অবশিষ্ট জেরা শেষ করে আসামিপক্ষের আইনজীবী।
গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়। মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ রয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেমকে ২০১২ সালের ১৭ জুন গ্রেফতার করা হয়। এরপর ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এনডিএস/এনআই/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৪)