দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গত সপ্তাহের (০৪-০৮ ডিসেম্বর) লেনদেনে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ’র (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্সসহ, ডিএসই-৩০ ও ডিএসই শরীয়াহ সূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে আর্থিক লেনদেন, বাজার মূলধন ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং ইউনিটের দর। ডিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৯.৭৯ পয়েন্ট বা ১.৪৫ শতাংশ বেড়েছে। আর ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক ১১.৮৬ পয়েন্ট বা ১.০৩ শতাংশ ও ডিএসই ৩০ সূচক ৭.৯৬ পয়েন্ট বা ০.৪৫ শতাংশ বেড়েছে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইএক্স ৩১.৬৯ পয়েন্ট বা ০.৬৬ শতাংশ,  ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক ১৬.২৪ পয়েন্ট বা ১.৪৩ শতাংশ ও ডিএসই ৩০ সূচক ১৮.১৬ পয়েন্ট বা ১.০৩ শতাংশ বেড়েছিল।

এ সময় ডিএসইতে ৩২৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮২টি বা ৫৫.৪৯ শতাংশ কোম্পানির, কমেছে ১২০টি বা ৩৬.৫৯ শতাংশ কোম্পানির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টি বা ৭.৯৩ শতাংশ কোম্পানির।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মূল্যসূচকের পাশাপাশি আর্থিক লেনদেন বেড়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় ২০.৮৩ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে। গত সপ্তাহে মোট ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। দৈনিক গড় হিসাবে এ লেনদেন হয়েছে ৮৭০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। যা আগের সপ্তাহে হয়েছিল ৩ হাজার ৬০০ কোটি ৫০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। দৈনিক গড় হিসাবে এ লেনদেন হয়েছিল ৭২০ কোটি ১০ লাখ টাকার।

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯০.২৫ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ২.২৬ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৬.০০ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ১.৪৯ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে হয়েছে।

সপ্তাহের শুরুতে ডিএসই’র বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকায়। অর্থাৎ গতসপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ০.৭৬ শতাংশ।


গত সপ্তাহে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইফাদ অটোসের শেয়ার। এ সময় কোম্পানির ১৫৫ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩.৫৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের লেনদেন হয়েছে ১২৭ কোটি ৭১ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ২.৯৪ শতাংশ। ১১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে শাশাঁ ডেনিমস।

লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে- আরএসআরএম স্টিল, আরগন ডেনিমস, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজ, কাশেম ড্রাইসেল, ফরচুন সুজ ও বেক্সিমকো।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৬)