পুনঃময়নাতদন্তে দিয়াজের লাশ ঢামেকে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর (২৮) মরদেহ পুনঃময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সোয়া ২টার দিকে তার লাশ চট্টগ্রাম থেকে ঢামেকে এসে পৌঁছে।
চট্টগ্রামের উপ-পরিদর্শক সিআইডি মহিউদ্দিন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকে নিয়ে আসা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগীয় প্রধান ডা. সহেল মাহমুদ জানান, আমরা লাশ পেয়েছি। কাগজের কিছু জটিলতা থাকায় আমরা আজ (শনিবার) ময়নাতদন্ত করব না। ময়নাতদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে।
চট্টগ্রাম অফিস জানায়, পুনঃময়নাতদন্তে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদের কবরস্থান থেকে দিয়াজের লাশ তোলা হয়।
দিয়াজ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির চট্টগ্রাম জোনের এএসপি অহিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দিয়াজ ইরফানের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। এখন তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, লাশ উত্তোলনের সময় নিহতের পরিবার, হাটহাজারী থানার এস আই মঞ্জু এবং নিহতের সহপাঠীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দের আদালত পুনরায় ময়নাতদন্তে দিয়াজ ইরফানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনে সিআইডিকে নির্দেশ দেন।
আদালতের সে নির্দেশ মোতাবেক সকালে দিয়াজের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেট এলাকার নিজস্ব ভাড়া বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠায়।
ময়নাতদন্ত রিপোর্টে দিয়াজ আত্মহত্যা করেছে বলে বলা হয়। কিন্তু দিয়াজের পরিবারের দাবি, তাকে খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এদিকে দিয়াজের মৃত্যুর ঘটনায় ২৪ নভেম্বর তার মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
(দ্য রিপোর্ট/আরএস/কেএনইউ/এমকে/এনআই/ডিসেম্বর ১০, ২০১৬)