দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান ওরফে টিপু মুন্সির মুক্তিযোদ্ধা সনদ এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নাম অন্তর্ভুক্তিকরণ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মেয়াদ বৃদ্ধি করে কোন কর্তৃত্ব বলে তিনি বর্তমান দায়িত্বে রয়েছেন তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার (১১ ডিসেম্বর) এই রুল জারি করেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উপসচিব, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সিনিয়র সহকারি সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক ও টিপু মুন্সিকে রুলের জবাব দিতে হবে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। পরে তিনি আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

গত ৪ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ও আইনজীবী মো. তারিক হাসান খান এই রিট আবেদন করেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১০ সালের ২৫ জুলাই জারি করা গেজেটে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে টিপু মুন্সির নাম উল্লেখ করা হয়। এরপর ২০১৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর তিনি দুই দফায় তিনবার চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করে গণপূর্ত বিভাগে কর্মরত আছেন।

আইনজীবী কামাল হোসেন বলেন, পরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নির্দেশে করা তদন্তে দেখা যায় টিপু মুন্সির মুক্তিযোদ্ধার সনদ ভুয়া। চলতি বছরের ২২ আগস্ট জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে এই প্রতিবেদন দেওয়ার পরও কাউন্সিল কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে এই রিট দায়ের করা হয়। সেই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আজ (রবিবার) এই রুল জারি করেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এমকে/ডিসেম্বর ১১, ২০১৬)