দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : কখনও সে বন্য হাতির শুঁড়ের ওপরে বসে পড়ছে। কখন আবার চিতার গলা জড়িয়ে তাকে আদর করছে। কখনও আবার বুকে টেনে নিচ্ছে বিষাক্ত সাপকে। আফ্রিকার জঙ্গলে এভাবেই জীবনের প্রথম দশটা বছর কেটেছে টিপ্পি দেগরের। তবে মোগলির কাহিনীর সঙ্গে দুটো অমিল।

প্রথমত, সে অভিভাবকদের কাছ থেকে হারিয়ে গিয়ে আফ্রিকার জঙ্গলে থাকতে বাধ্য হয়নি। দ্বিতীয়ত, ছেলে নয়, টিপ্পি একটি ফুটফুটে মেয়ে।

এতদিনে সে বড় হয়েছে। নিজের বন্য জীবনের কাহিনী বইয়ের পাতায় লিখেছে সে। নাম ‘‌মাই স্টোরি অফ আফ্রিকা’‌। টিপ্পির বাবা-মা ছিলেন ‘ওয়াউল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার’।

সেই কাজেই ফ্রান্স ছেড়ে তারা গিয়েছিলেন আফ্রিকা মহাদেশের নামিবিয়ায়। সেখানে জন্ম হয় টিপ্পির। ছোট থেকেই বন্য জন্তুদের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করে সে। বাঘ, সিংহ, হাতি, বিষাক্ত সাপ— প্রত্যেকেই তার বন্ধু হয়ে ওঠে।

এমনকী, আদিবাসীদের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়ে যায়। টিপ্পির যখন ১০ বছর বয়স, তখন তার বাবা-মা তাকে নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। তবে তার আগে তুলেছিলেন অজস্র ছবি।

ডেইলি মেইলে প্রকাশিত সেই সব ছবি দেখে নেওয়া যাক—

এক পাল হাতির সঙ্গে বোতলে দুধ খাচ্ছে দেড় বছর বয়সী টিপ্পি।

দক্ষিণ আফ্রিকার জঙ্গলে ছয় বছর বয়সী টিপ্পি। হনুমানের সঙ্গে তার ভালোই সখ্যতা।

গল্পের মোগলি এবার বাস্তবেও।

৩৪ বছর বয়সী হাতির সঙ্গে ৬ বছর বয়সী টিপ্পি। বতসোয়ানার ওকাওয়াঙ্গো জলাভূমিতে তোলা ছবিটি।

ভোদরের সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্ব।

উটপাখির সঙ্গে টিপ্পি।

আদিবাসীদের সঙ্গে বাস্তবের মোগলি।

(দ্য রিপোর্ট/এফএস/ডিসেম্বর ১১, ২০১৬)