প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর
যশোর অফিস : রাত পোহালেই ভোট যশোরের অভয়নগর উপজেলায়। শেষ সময়ে এসে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী। তার অভিযোগ, প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে ট্রেনিংপ্রাপ্তদের কয়েকজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে।
রিটার্নিং অফিসার ও যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এএনএম মঈনুল ইসলাম জানিয়েছেন, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও সদর সার্কেল এএসপি রেশমা শারমিনও অনুরূপ তথ্য দিয়েছেন। সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মেহনাজ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালেই নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হয়েছে। দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রিজাইডিং অফিসারদের।
অভয়নগর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী মাঠে থাকলেও মূল লড়াই হচ্ছে বিএনপি সমর্থিত নূরুল হক মোল্যা বাঘা ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত রবিন অধিকারী ব্যাচার মধ্যে।
বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, ট্রেনিংপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে শেষ সময়ে এসে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে হতবাক তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে এবং ব্যালট কেটেকুটে নিতে দলনিরপেক্ষ প্রিজাইডিং অফিসারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করা হবে।’
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী গোলাম হায়দার ডাব্লু জানান, মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করে ১২ জন প্রিসাইডিং অফিসারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্তের মৌখিক প্রতিবাদ করা হয়েছে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে।
তবে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সহকারী রিটার্নিং অফিসার সিফাত মেহনাজ বলেন, ‘কাউকে দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। রিজার্ভ রাখা হয়েছে কয়েকজনকে।’
রিটার্নিং অফিসার এএনএম মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘দল নিরপেক্ষ ব্যক্তিদেরই প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোনো প্রার্থীকে সুবিধা পাইয়ের দেওয়ার জন্য কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
(দ্য রিপোর্ট/একে/এনডিএস/সা/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৪)