বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : জেলার হাটহাজারী ও মিরসরাই উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দুটি উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে ভোটারের দীর্ঘ লাইন। অনেকে ফজরের নামাজের পরপর ভোট দিতে লাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন। তবে অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে নারী ভোটারের সংখ্যাই বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

হাটহাজারীর ১০৬টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। ইতোমধ্যে প্রশাসন সবগুলো কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে। তৈরি করেছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয়। এই উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৫ হাজার ৩৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৪৭ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩১ হাজার ৮৫১ জন। নির্বাচনে ১০৬টি ভোটকেন্দ্র, ৬৬৯টি ভোটকক্ষ, ১০৬ জন প্রিসাইডিং অফিসার ও ২ হাজার ৭ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন।

উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ সমর্থিত একক প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইসমাইল (মোটরসাইকেল), ১৯ দলীয় জোট ও বিএনপি সমর্থিত একক প্রার্থী বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আলম চৌধুরী (কাপ-পিরিচ), বিএনপি সমর্থক মো. নাজিম উদ্দিন (দোয়াত-কলম), আওয়ামী লীগ সমর্থক আবুল মনছুর (ঘোড়া), আওয়ামী লীগ সমর্থক ফয়েজুল ইসলাম (টেলিফোন) ও জাতীয় পার্টি সমর্থক মোহাম্মদ নুরুল আবচার চৌধুরী (আনারস)।

এদিকে, মিরসরাইয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফেরদৌস হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত হোসেন, স্থানীয় খৈয়াছরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাঈন উদ্দিন মাহমুদ। ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমত আরা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুব ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ইয়াসমিন আক্তার কাকলী।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন করছেন ৯৬ জন প্রিসাইডিং ৭৯৭ জন সহকারী প্রিসাইডিং ও ১ হাজার ৫৮২ জন পোলিং অফিসার। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক দায়িত্বে পালন করছেন ৮ জন নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট। মোট ভোটকেন্দ্র ৯৬টি। এগুলোর মধ্যে ৪৫টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করছেন দুই হাজারেরও বেশি পুলিশ ও আনসার সদস্য। সহযোগী বাহিনী হিসেবে মাঠে আছে ৬ সেকশন (৬০ জন) বিজিবি ও ৪৮ জন র‌্যাব সদস্য। এ ছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবে ৬০ জন সেনা সদস্য।

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া ও জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, দুটি থানার ৯৬টি কেন্দ্রের প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৮ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেএইচএস/ইইউ/এমডি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৪)