উৎসবমুখর পরিবেশে ৯৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে
![](https://bangla.thereport24.com/article_images/2014/02/19/upozila1.jpg)
মাহফুজ স্বপন, দ্য রিপোর্ট : ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আর উৎসবমুখর পরিবেশে সারাদেশে ৪০টি জেলার ৯৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথমপর্বে বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
প্রথম দুই ঘণ্টায় তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সদর উপজেলার গান্না ও বালিয়াডাঙ্গা বাজারে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় আওয়ামী লীগকর্মীদের সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, মিরসরাইয়ে ভোটকেন্দ্র পরিবর্তনের প্রতিবাদে প্রায় এক হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না। এর প্রতিবাদে বুধবার ইছাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ ভূঁইয়াপাড়ার ভোটাররা কেন্দ্রে না গিয়ে নিজ গ্রামে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন।
নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় বিধ্বস্ত যশোরের অভয়নগর উপজেলার হিন্দু অধ্যুষিত চাপাতলা ভোটকেন্দ্রে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ছে। মালোপাড়াসহ আশপাশের এলাকার ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন। নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে ইসি।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, দশম সংসদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অংশ না নিলেও উপজেলা নির্বাচনে তারা অংশ নিচ্ছে, যে কারণে উপজেলা নির্বাচন বরাবরের চেয়ে এবার হয়ে উঠেছে আরও জমজমাট। ফলে এ নির্বাচনকে ঘিরে বিরাজ করছে জাতীয় নির্বাচনের আমেজ।
ইসি সচিবালয়ের সহকারী সচিব আশফাকুর রহমান জানান, নির্বাচনের ৩২ ঘণ্টা পূর্বে সকল প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকবে এবং তা অব্যাহত থাকবে নির্বাচনের পর ৬৪ ঘণ্টা পর্যন্ত। কেউ আইন ভঙ্গ করলে কারাদণ্ড ও আর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এমনকি প্রার্থিতাও বাতিল হবে।
সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে প্রথম ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন করতে সোমবার থেকে ৯৭টি উপজেলায় নেমেছে সেনাবাহিনী। নির্বাচনের আগে ও পরে মিলিয়ে মোট ৫ দিন তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবেন তারা।
এ ছাড়া মোবাইল ফোর্স হিসেবে পর্যাপ্তসংখ্যক র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), একজন আনসার (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার ১০ জন (মহিলা-৪, পুরুষ-৬) এবং আনসার একজন (লাঠিসহ) ও গ্রামপুলিশ একজন করে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে রয়েছেন।
নির্বাচনে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৩৮৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯৭ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
৯৭টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ২৭৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ৪৩২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) প্রার্থীর সংখ্যা ৫১৩ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) প্রার্থীর সংখ্যা ৩২৯ জন।
এ সব এলাকায় মোট ভোটার ১ কোটি ৬৪ লাখ ৭৮ হাজার ১৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮১ লাখ ৯১ হাজার ৫৩৭ জন, মহিলা ভোটার ৮২ লাখ ৮৬ হাজার ৬৩৫ জন।
মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬ হাজার ৯৯৫টি, ভোটকক্ষ ৪৩ হাজার ২৯০টি। প্রিসাইডিং অফিসার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একজন করে ৬ হাজার ৯৯৫ জন। সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার প্রতিটি ভোটকক্ষের জন্য একজন করে মোট ৪৩ হাজার ২৯০ জন এবং পোলিং অফিসারের সংখ্যা ৮৬ হাজার ৫৮০ জন।
(দ্য রিপোর্ট/এমএস/এসবি/এমডি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৪)