দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সংলাপের জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিএনপি অপেক্ষা করবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বুধবার সকাল ১১টায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সরকার জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তনে বিশ্বাস করে বিএনপি। কিন্তু সে পদ্ধতি যখন রুদ্ধ হয়ে যায় তখন রাজপথে আন্দোলন করা ছাড়া কোন উপায় থাকে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণকে সম্পৃক্ত করে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন করব। হরতাল গণতান্ত্রিক পন্থা। আমরা বহু দেন-দরবার করেছি। হরতাল ছাড়া কোন উপায় ছিল না।’

আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিএনএফ এর মতো ছোট ছোট দল নিবন্ধন দিয়ে রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। তারা একটি পুরনো রাজনৈতিক যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। অথচ আজ ক্ষমতার মোহে সংবিধান পরিবর্তন করে দেশের জনগণের আশা আকাঙ্খাকে জলাঞ্জলি দিয়েছে। তা না হলে বিএনএফ-এর মতো একটি ছোটদলকে নিবন্ধন সুযোগ করে দেয়া ও ছোট দলগুলোর উপর ভর করে ক্ষমতায় যেতে চাইতো না।’

সংবিধান অনুসারে নির্বাচন হলে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে নাকি প্রতিহত করবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘এ ধরনের কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিবে না এবং জনগণ তা প্রতিহত করবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাড়া বিএনপির অন্য কোনো প্রভু নেই। ইতিমধ্যে প্রমাণ হয়েছে দেশের বাইরে অন্যান্য দলের প্রভু রয়েছে।’

আন্দোলন যখন সংঘবদ্ধভাবে চুড়ান্ত পথে এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিডিআর বিদ্রোহ ঘটনার সঙ্গে বিএনপিকে জড়িয়ে জনগণের আন্দোলনের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা কেবল বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে। বিডিআর হত্যাকাণ্ড যখন ঘটেছে তখনই দেশি-বিদেশি অনেক গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।’

আইএসআই-এর সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িয়ে আনন্দবাজার সংবাদ প্রকাশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। মিথ্যা কথা। একটি দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে যখন সংবাদ প্রকাশ করে তখন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেয়া মানে প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করে দেয়া। তাই আমরা মনে করি এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।’

(দিরিপোর্ট২৪/এমএইচ/এমসি/জেএম/নভেম্বর ০৬, ২০১৩)