‘আল কায়েদার বাংলাদেশের তরুণ এজেন্ট তারেক রহমান’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ‘আল কায়েদার বাংলাদেশের তরুণ এজেন্ট তারেক রহমান’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদার বাংলাদেশি ভার্সন জামায়াত-হেফাজত-বিএনপি। আর এদের তরুণ নেতা তারেক রহমান। জাওয়াহিরির বক্তব্যের মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয়েছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বুধবার দুপুরে দেশরতœ সেবক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত মৌলবাদী জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তারেক রহমান। হাওয়াভবন তার অন্যতম উদাহরণ। ১৯৯১ থেকে ৯৬ পর্যন্ত বিএনপির রাষ্ট্রপরিচালনার যে চরিত্র আমরা দেখেছি, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে তাদের রাষ্ট্র পরিচালনা পুরোটাই পরিবর্তন হয়ে যায়। কারণ তারেক রহমান জামায়াতকে নিয়ে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলেন।
উপজেলা নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপির অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। সরকার এখানে কোনো প্রভাব ফেলবে না। বিএনপি অতীতে কারচুপি এবং ভোট ডাকাতি করেছে। তাই ‘চোরের মনে পুলিশ পুলিশ’।
আলকায়েদাসহ জঙ্গিবাদীরা বাংলাদেশে ঘাঁটি করতে পারবে না দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে জন্ম নেওয়া কোনো দেশ নয়, দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এদেশের জন্ম হয়েছে। আলকায়েদা সাময়িকভাবে আমাদের বিচলিত করতে পারবে, অশান্তি সৃষ্টি করতে পারবে। কিন্তু তারা পরাজিত হবেই।
আলকায়েদা প্রধান জাওয়াহিরির ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত জাওয়াহিরির বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশে তারা কী চায়? বাংলাদেশেকে তারা একটি জঙ্গী কর্মক্ষেত্রে পরিণত করতে চাচ্ছে। আমরা আগেও বলেছি জঙ্গীদের উপস্থিতি রয়েছে।
১০ ট্রাক অস্ত্র সম্পর্কে সাবেক এই আইনপ্রতিমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগিতা করতে বাংলাদেশের উপর দিয়ে এই অস্ত্র দিতে চেয়েছিলো। যার প্রত্যক্ষ মদদ দিয়েছে রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী।
সংগঠনের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব ডা. কামরুল আহসান খান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, শিক্ষক নেতা অধ্যাপক শাহজাহান আলম সাজু প্রমুখ।
(দ্য রিপোর্ট/এমএইউ/এমডি/এজেড/ ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৪)