রাবি সংবাদদাতা : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীশূন্য হয়ে পড়েছে। তবে চলছে প্রশাসনিক বিভাগ ও আবাসিক হলের অফিসিয়াল কার্যক্রম।

একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা ও আবাসিক হলগুলো শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য বন্ধ করে দেওয়ায় অন্তত ২৮ হাজার শিক্ষার্থী ভয়াবহ সেশনজটের আশঙ্কায় ভুগছেন। এরপরও ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর অফিস চলছে যথারীতি। ভর্তির কাজে হলে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ডিন অফিসগুলো চালু রাখা হয়েছে আগের মতো। বিভিন্ন ভবনে গিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভিড়ও লক্ষ্য করা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনোয়ার হোসেন জানান, গত কয়েক মাসে দেশের সহিংস পরিস্থিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীরা এক লম্বা সেশনজটে পড়বে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন সেশনে ভর্তিসহ বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজের চাপে হল, বিভাগ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এ মাসে হয়তো ক্যাম্পাস খোলা নাও হতে পারে।’

উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি সকল প্রকার বর্ধিত ফি প্রত্যাহার ও সান্ধ্যকালীন কোর্স বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর একযোগে গুলি চালায় ছাত্রলীগ ও পুলিশ। এতে অন্তত ৩০ জন গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক সাংবাদিক ও সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএএ/ইইউ/এমডি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৪)