সাংবাদিক গৌতম হত্যার আসামির জামিন নামঞ্জুর
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামি সিদ্দিকুর রহমান মিয়ার জামিন নামঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর বেঞ্চ বুধবার জামিন নামঞ্জুর করে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করেছেন।
বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ডের বিরুদ্ধে ওই আসামির আপিল ও জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেয়।
নিম্ন আদালতে অন্য দুই যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আসিফ ইমরান ও আসিফ ইমতিয়াজ বুলুও জামিনের আবেদন করেন। আগামী সপ্তাহে তাদের আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
গত বছরের ২৭ জুন ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন অন্য সাত আসামির সঙ্গে তাদেরও যাবজ্জীবন এবং প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়।
বাকি আসামিরা হলেন- কাজী মুরাদ, কামরুল ইসলাম আপন, আসাদ বিন কাদির, তামজিদ হোসেন বাবু, রাজিব হাসান মিয়া ও আবু তাহের মর্তুজা ওরফে অ্যাপোলো। রায় ঘোষণার সময় অ্যাপোলো কারাগারের বাইরে থাকলেও বর্তমানে এই মামলার সব আসামি কারাগারে রয়েছেন।
ফরিদপুর শহরের মুজিব সড়কের সংস্কারে অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর প্রকাশ করায় দৈনিক সমকালের ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক গৌতমকে ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর তার কার্যালয়ে ঢুকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
মামলার ১০ আসামির মধ্যে জাহিদ খান আগেই মারা যান।
২০০৬ সালের ১৯ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর ‘স্পর্শকাতর’ বিবেচনায় সরকার ওই বছর এপ্রিলে মামলাটি ফরিদপুর থেকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠায়। মোট চারজন বিচারকের হাত ঘুরে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে।
২০০৭ সালের ১৩ নভেম্বর আসামি পক্ষ এ মামলার বিচারের ওপর হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ পেলেও পরে তা প্রত্যাহার করা হয়।
গত এক দশকে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় এই প্রথম কোনো মামলায় আসামিদের সাজা হল।
নিম্ন আদালতের রায়ে বিচারক বলেন, সাংবাদিক গৌতম সৎ উদ্দেশ্য নিয়েই ওই দুর্নীতির খবর প্রকাশ করেছিলেন বলে মামলায় প্রমাণিত হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এমএআর/সা/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৪)