লালখান বাজার মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ
অভিযোগপত্রের শুনানি ২৫ ফেব্রুয়ারি
বিশেষ প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার মাদ্রাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযোগপত্রের যোগ্যতার ওপর শুনানি ২৫ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলাম ও তার ছেলে হারুন ইজহারসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমান বুধবার অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির এই সময় নির্ধারণ করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, অভিযোগপত্র যাচাই-বাছাই করে ২৫ ফেব্রুয়ারি মতামত দেওয়া হবে। ওইদিন গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি হবে।
অভিযোগপত্রে উল্লিখিত আসামিদের মধ্যে মুফতি ইজহারুল ইসলাম হাইকোর্টের জামিনে আছেন। মুফতি হারুন শাপলা চত্বরে হেফাজতের লংমার্চে সহিংসতার মামলার আসামি হিসেবে ঢাকা কারাগারে আটক আছেন। বাকি আসামিরা হলেন- হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ ইছহাক, মনির হোসেন, আবদুল মান্নান, তফসির আহমেদ ও মোহাম্মদ জুনায়েদ।
গত বছরের ৭ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে নগরীর লালখান বাজারে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলাম পরিচালিত জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দুই ছাত্র মারা যায়। আহত হয় অনেকেই।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ল্যাপটপ চার্জার থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে। তবে পুলিশ ওই কক্ষ তল্লাশি করে চারটি তাজা গ্রেনেড এবং বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে। রাতে মুফতি ইজহারের বাসায় তল্লাশি করে ১৮ বোতল এসিড পাওয়া যায়।
ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নগরীর খুলশী থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে। দুটি মামলাতে মুফতি ইজহার এবং তার ছেলে হারুনকে আসামি করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/কেএইচ/এমএআর/সা/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৪)