দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুর মাজার রোডের পৃথক স্থান থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে দারুস সালাম থানা পুলিশ। বুধবার দুপুরে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

মিরপুর মাজার রোডের শরাফত ভবনের (দক্ষিণ বিসিলের ১৯৫ নম্বর বাসা) দ্বিতীয় তলা থেকে রফিকুল ইসলাম নামে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। থানা সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ১১টায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সুরতহাল রিপোর্টে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরির আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্টটি করেন দারুস সালাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খন্দকার মনিরুজ্জামান।

মনিরুজ্জামান জানান, রফিকুল সারাহ প্রিন্টার্সের হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করত এবং সেখানেই রাত্রিযাপন করত। তার সঙ্গে থাকত কোয়ালিটি কন্ট্রোলার মশিউর রহমান। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও তিনি জানান।

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টায় অফিস ছুটি হলে কর্মচারীরা চলে যাওয়ার পর ওই দুজন সেখানেই অবস্থান করে। বুধবার ভোর সাড়ে ৬টায় প্রতিষ্ঠানটি তালা মারা দেখতে পেয়ে তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন রফিকুলের রুমটিতেও তালা মারা। এরপর রুমের তালা ভেঙে ঢুকে রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন।

পরিবারের অভিযোগ তাকে খুন করা হয়েছে। তার খালু রফিক জানান, পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সারাহ প্রিন্টার্সের মালিক সাখাওয়াত হোসেন লিটন তাকে খুন করেছে।

তবে কী কারণে তাকে খুন করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা এত কিছু জানি না। তবে তার অফিসে চাকরি করে, আবার তার অফিস থেকেই লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে মাজার রোডের বিপরীত পাশে বাইতুল হামদ আবাসিক হোটেল থেকে আজারুল ইসলাম নামে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।

তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার বিসিক শিল্প নগরীতে। তিনি হৃদরোগে মারা গেছেন বলে পুলিশ জানায়। তবে বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

দারুস সালাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, মৃতদেহ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর-এএইচএ/জেএম/সা/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৪)