আলামত সংগ্রহে দিয়াজের বাসায় ময়নাতদন্ত টিম
চবি প্রতিনিধি : কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় আলামত সংগ্রহে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত টিম দিয়াজের বাসা পরিদর্শন করেছে।
রবিবার (১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২ নং গেইট এলাকায় অবস্থিত দিয়াজের বাসায় আসেন তদন্ত টিমের সদস্যরা।
প্রায় তিন ঘন্টা সেখানে অবস্থান করেতদন্ত টিমের সদস্যরা দিয়াজের মা জায়েদা আমিন চৌধুরী, বড় বোন জোবায়দা সরোয়ার নিপাসহ মামলার সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দিয়াজের নিজ কক্ষসহ বাসা থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন। পরিদর্শনকালে দিয়াজ হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম জোনের সিআইডি এসপি অহিদুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
আলামত সংগ্রহ শেষে ড. সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রাম কোর্টের আদেশে দিয়াজের লাশের ময়নাতদন্তে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ। বোর্ডের সদস্য হিসাবে আমরা দিয়াজের লাশের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করি। ময়নাতদন্তের পর আমাদের কাছে মনে হয়েছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা প্রয়োজন। তাই আমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি।
দিয়াজকে হত্যা করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা কোন মন্তব্য করব না। এটি পর্যালোচনার বিষয়। আমরা এখান থেকে আলামত সংগ্রহ করে নিলাম। পর্যালোচনা শেষে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
দিয়াজের হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম জোনের সিআইডির এসপি অহিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেদ মাহমুদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম দিয়াজের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করে। তারা কিছু আলামত সংগ্রহ করতে এখানে এসেছে। পরে প্রথম ময়নাতদন্তকারীদের সাথে কথা বলবে। বর্তমানে দিয়াজের মামলাটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ২নং গেইট এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, দিয়াজকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ময়নাতদন্তে বলা হয়, দিয়াজ আত্মহত্যা করেছে।মযনাতদন্তের এ প্রতিবেদন দিয়াজের পরিবার প্রত্যাখান করে চট্টগ্রাম আদালতে চবি সহকারী প্রক্টর (বর্তমানে অব্যাহতিপ্রাপ্ত) আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, চবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবুল মনসুর জামসেদ, বর্তমান সভাপতি আলমগীর টিপুসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিয়াজের লাশ পুনরায় কবর থেকে উত্তোলন ও ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশ দেয় চট্টগ্রাম আদালত। আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে তার লাশ উত্তোলন ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনও দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি।
(দ্য রিপোর্ট/এমকে/জানুয়ারি ১৭, ২০১৭)