‘ইসি কারও পরামর্শ মানতে পারে, নাও মানতে পারে’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ‘নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আমরা যে পরামর্শ দিয়েছিলাম তা শোনেনি।’ বিএনপির এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, কোন জায়গায় এমন কথা কি বলা আছে যে বিএনপি বা অন্য কোন দল যা পরামর্শ দেবে তা নির্বাচন কমিশনকে মানতে হবে? আমাদের কাছেও অনেক অভিযোগ আছে। নির্বাচন কমিশন কারো পরামর্শ মানতে পারেন নাও মানতে পারে। এটি তাদের বিষয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার বিকেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচ টি ইমাম বলেন, বিএনপির জন্মলগ্ন থেকেই তাদের একটি লাইং স্পিনিং মিল আছে। সেখানে মিথ্যা কথার জাল বোনা হয়। বারে বারে মিথ্যা কথা বলা হলে সকলে বিশ্বাস করবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি সমর্থকরাও আমাদের প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। উল্লাপাড়ায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর হঠাৎ করে জামায়াত সমর্থকরা কেন্দ্রে গিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা নিয়ন্ত্রণ করেছে। সব নির্বাচনেই এমন কিছু ছোটখাটো ঘটনা ঘটে। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার রাজশাহীর সফরের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর এই রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, ড্যান মজিনা রাজশাহী বিভাগে গিয়েছেন। তার সঙ্গে ৫০ জন পর্যবেক্ষক নিয়ে গেছেন। তারা বলেছে, নির্বাচনের পরিবেশে তারা সন্তুষ্ট। কাজেই বিদেশিদের আগ্রহও কম নয়।
পোলিং এজেন্টকে পূর্বের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে এটা কী সরকারের চাপ প্রয়োগ- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, পোলিং এজেন্ট যদি বেআইনি কাজ করে থাকে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরে নিয়ে যেতে পারে। ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আমাদের একজন ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জনগণ যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে তাই সবার সঙ্গে কথা বলে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন পর্যায়ে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের প্রত্যেকটি অঞ্চল থেকে আমরা যে তথ্য পেয়েছি তাতে আমরা দাবি করতে পারি সব জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের এই উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় তাই দেশের সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী টহল দিয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের যে সমস্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তা নির্বাচন কমিশন করবে। সরকারের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করা। প্রথম পর্যায়ে যেভাবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ধারা সৃষ্টি হয়েছে যদি কোন প্রকার ভুল হয়ে থাকে তা পরবর্তী পর্যায়ে শুধরে নেওয়া হবে।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, দায়িত্বপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় সদস্য সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
(দ্য রিপোর্ট/এইউএ/জেএম/এনআই/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৪)