বৃহস্পতিবার ৯ উপজেলায় বিএনপির হরতাল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রথম পর্বের ৯৭ উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসনের সহযোগিতায় সরকারি দলের ক্যাডাররা ভোটকেন্দ্র দখল ও জালভোট প্রদান করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। কেন্দ্র দখল, সন্ত্রাস সৃষ্টি ও জালভোটের প্রতিবাদে ৯ উপজেলায় বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করেছে বিএনপি।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ এ ঘোষণা করেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ওই ৯৭ উপজেলার নির্বাচনকে ঘিরে প্রশাসন ও নির্লজ্জ নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতায় কোনো কোনো উপজেলায় সন্ত্রাস ও কেন্দ্র দখলের সার্বিক চিত্র তুলে ধরবে বিএনপি।
রিজভী আহমেদ বলেন, ‘নির্লজ্জ নির্বাচন কমিশন অটোমেটিক সংসদের অটোমেটিক সরকার, অটোমেটিক সরকারের অটোমেটিক প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন করছে।’
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে মোট ৫ শতাংশ ভোটও পড়েনি। আজকে যে নির্বাচন করছে সরকার তাতে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা তাণ্ডব সৃষ্টি করেছে। কোনো ভোটার রিকশাযোগে কেন্দ্রে যাওয়ার সময়ই তাদের তাণ্ডবের উন্মাদনার শিকার হয়।
রিজভী দেশের বিভিন্ন উপজেলার নাম উল্লেখ করে বলেন, এসব উপজেলায় কোনো সাধারণ ভোটার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের কারণে ভোট দিতে পারেনি। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়েছে। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ইসিকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আসলে এই নির্লজ্জ ইসি সরকারের নির্দেশই বাস্তবায়ন করছে।
রিজভী জানান, ভোট সন্ত্রাসের প্রতিবাদে মেহেরপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণ বরিশালের বাকেরগঞ্জ ও গৌড়নদী উপজেলা, পাবনার সুজানগর উপজেলা, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলা, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা, ঝিনাইদহ সদর ও শৈলকুপা উপজেলা এবং কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করা হয়েছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আরও অভিযোগ করেন, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার নির্দেশ ও মদদে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় কেন্দ্র দখল করা হয়েছে। তিনি ঘোষণা করেছেন, যেকোনো মূল্যে তার মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করতে হবে। নেত্রকোনার কেন্দুয়াতেও সংসদ সদস্য টিপুর নেতৃত্বে কেন্দ্র দখল করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বও চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু, সহ দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহিনসহ বিপুল সংখ্যক নেতা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে নেতাদের বসার স্থানের পেছনে ক্যামেরায় চেহারা দেখানোর জন্য অন্যদের দাঁড়ানোর প্রতিযোগিতার কারণে বিরক্ত হয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ধমক দিয়ে বলেন, ‘এই সরে দাঁড়াও। চেহারা দেখাতে ব্যস্ত হয়েছ সবাই। যাও।’
(দ্য রিপোর্ট/টিএস/জেএম/এনআই/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৪)