‘এ জীবনে একটা কবিতাই লিখতে চাই’
মুজিব ইরমের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা দশ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- মুজিব ইরম ভনে শোনে কাব্যবাণ (১৯৯৬), ইরম কথা (১৯৯৯), ইরমকথার পরের কথা (২০০১), আদিপুস্তক (২০১০), লালবই (২০১১), নির্ণয় ন জানি (২০১২), ইরমসংহিতা (২০১৩) ও ভাইবে মুজিব ইরম বলে (২০১৩)। শিশুসাহিত্যে রয়েছে- এক যে ছিলো শীত ও অন্যান্য গপ (১৯৯৯)। উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে- বারকি (২০০৩), মায়াপির (২০০৪) ও বাগিচাবাজার (২০০৫)। দ্য রিপোর্টের পক্ষ থেকে তার মুখোমুখি হয়েছেন ওয়াহিদ সুজন
এবারের বইমেলায় কী কী বই আসছে।
এই বইমেলায় প্রকাশিত হল কবিতার বই ‘কবিবংশ’। বইটি প্রকাশ করেছে ধ্রুবপদ প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছেন চারু পিন্টু৷
এছাড়াও এন্টিভাইরাস পাবলিকেশনস, লিভারপুল, ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিত আমার নির্বাচিত কবিতার বই ‘পোয়েমস অব মুজিব ইরম’-এর বাংলাদেশ সংস্করণটিও মেলায় বেরিয়েছে। পরিবেশক আগুনমুখা। বইটি অনুবাদ করেছেন কবি কামরুল হাসান ও সম্পাদনা করেছেন কবি তানভীর রাতুল।
বইগুলো সম্পর্কে কিছু বলুন...
‘কবিবংশ’ আমার ১১তম কবিতার বই। অবশ্য আমি বলি ‘১১তম ১ম কবিতার বই’। কেননা প্রতিবারই বই বের হওয়ার সময় মনে হয় এই বুঝি ১ম বই বের হচ্ছে! এ রকম আবেগ কাজ করে। যদিও প্রকাশের পরপরই আনন্দ নিরানন্দ হয়ে ওঠে, মনে হয় এবার তো হলো না কিছুই, ১ম বইটি আবার লিখতে হবে। আর আমি তো এ জীবনে একটা কবিতাই লিখতে চাই। দীর্ঘ কবিতা। শুধু নাম তার ভিন্ন ভিন্ন এই যা! যাই হোক, ৪ ফর্মার এই গ্রন্থে ১টি ভূমিকাসহ মোট ৪৯টি কবিতা রয়েছে। অন্যদিকে ‘পোয়েমস অব মুজিব ইরম’ও ৪ ফর্মার বই। এ পর্যন্ত প্রকাশিত আমার ১০টি বই থেকে কবিতাগুলো নির্বাচিত হয়েছে। কবিতা ছাড়াও এতে সংযুক্ত হয়েছে অনুবাদক ও সম্পাদকের ২টি চমৎকার ভূমিকা।
নিজের বই নিয়ে বলার মতো আর কিছু নেই। শুধু আগ্রহী পাঠকদের বই দুটি পড়ার সবিনয় নিমন্ত্রণ জানাই। ‘কবিবংশ’ পাওয়া যাচ্ছে বইমেলায় ধ্রুবপদ-এর ৩৬৬-৬৭ নাম্বার স্টলে, আর ‘পোয়েমস অব মুজিব ইরম’ পাওয়া যাচ্ছে লিটল ম্যাগাজিন চত্বরের আগুনমুখা ও শালুকের স্টলে।
বই প্রকাশের অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু বলবেন?
বই প্রকাশের অভিজ্ঞতা নিয়ে আর কী বলব! তেমন কোনো অভিজ্ঞতা নেই। বরং প্রকাশক, অনুবাদক ও সম্পাদকগণ এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন, কেননা আমি তো লিখেই দায়িত্ব শেষ। তারাই সব করেছেন। আমি তার ধারেকাছেই যাইনি, অথবা যেতে হয়নি। বই প্রকাশের অভিজ্ঞতা তাই সুখকরই বলা যায়।
বইকে কীভাবে প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া যায় বলে মনে করেন...
আমার মনে হয় বইমেলাকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত এবং সারা বছরই কোথাও না কোথাও মেলা হওয়া উচিত। এতে উৎসবপ্রিয় আমরা সারাবছর বইয়ের কাছাকাছি থাকতে পারব, বছরের এই একটি মেলার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে না। আর বইগুলোও প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে। পাঠকদের জন্য বই সংগ্রহ সহজসাধ্য হবে।
লেখালেখির ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী?
পরিকল্পনা করে আর যাই হোক কবিতা লেখা যায় না বলেই মনে হয় আমার। তাই পরিকল্পনা ছাড়াই কবিতা লিখছি। লিখতে লিখতে হয়ত পরবর্তী পাণ্ডুলিপি তৈরির পরিকল্পনা এসে যাবে। সেই অপেক্ষায় আছি। তাছাড়া প্রায় ১০/১২ বছর থেকে আগলে রাখা ৩য় উপন্যাস ‘বাগিচাবাজার’, ১ম গল্পের বই ‘বাওফোটা’ ও ১ম কিশোর পদ্যের বই ‘আয়রে আমার কুসুমকলি’ নিয়ে যথারীতি এ বছরও মাঝেমধ্যেই কাজ করব। হয়ত পরের মেলায় বের হবে। এইতো!
(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/এইচএসএম/এনআই/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৪)