রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। বুধবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯০৪৮.০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ছয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মাঝে বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার রিজার্ভ বেড়েছে। গত সাড়ে চার বছরে রিজার্ভ বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল নয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, রফতানিকারকদের প্রদত্ত প্রণোদনার ফলে রফতানি আয় জুলাই-ডিসেম্বর/১৩ সময়ের পূর্বের একই সময়ের তুলনায় ১৬.৫৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। রফতানিকে উৎসাহিত করার জন্য রফতানির ওপর নগদ সুবিধা প্রদান অব্যাহত রাখা হয়েছে।
রফতানি উন্নয়ন তহবিলের পরিমাণ মার্কিন ডলারে ১.০০ বিলিয়নে উন্নীত করা হয়েছে এবং বিকেএমইএ, প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ, প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ, টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ, সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ইন্ডাস্ট্রিজভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে এ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।
একই সময়ে স্বল্পমেয়াদী ঋণ এবং এফডিআই-এর উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির ফলে বৈদেশিক মুদ্রার আন্তঃপ্রবাহ বেড়েছে।
খাদ্য উৎপাদন বিশেষত চালের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে চাল আমদানি করতে হচ্ছে না। এ ছাড়াও, জ্বালানি তেলসহ আমদানিযোগ্য অন্যান্য পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হ্রাস পাওয়ায় এবং বিলাস দ্রব্যের আমদানি নিরূৎসাহিত হওয়ায় সার্বিক আমদানি ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। জ্বালানি তেল আমদানি বাবদ আইডিবির ঋণ সহায়তার ফলেও আমদানি ব্যয়ের চাপ বর্তমানে হ্রাস পেয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এএইচ/এমএআর/এনআই/ফ্রেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৪)