দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দেশে ব্যবসারত বিদেশি কোম্পানিগুলোর রাজস্ব ফাঁকি ও বিদেশে অর্থপাচার রোধে ‘ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল’ গঠন করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআর থেকে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, সাধারণত বিদেশি কোম্পানিগুলো যে সুদ, লভ্যাংশ বা পণ্যের মূল্য মূল কোম্পানিতে পাঠায় সেটাই ‘ট্রান্সফার প্রাইসিং’।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনবিআর’র একজন কর্মকর্তা দ্য রিপোর্টকে বলেন, নব গঠিত এই সেল মূলত বিদেশি কোম্পানিগুলোর রাজস্ব ফাঁকি ও বিদেশে অর্থপাচার রোধে কাজ করবে। শিগগিরই এ সেলটি তাদের কার্যক্রম শুরু করবে।

তিনি আরও জানান, ট্রান্সফার প্রাইসিং অবৈধ নয়, বরং যৌক্তিক। কেননা, বিদেশি কোম্পানি এদেশে বিনিয়োগ করে ব্যবসা করার জন্য। ব্যবসার লভ্যাংশ তারা মূল কোম্পানিতে পাঠাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোম্পানিগুলো একদিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দেয় এবং অন্যদিকে নিজ দেশে মুনাফা প্রেরণের নামে অধিক অর্থ পাঠিয়ে থাকে, যা কী না অর্থপাচারের শামিল। এ সব ঠেকাতেই মূলত এই সেল গঠন করা হয়েছে ।

জানা গেছে, ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধির প্রয়োজনীয় পরিবর্তন, পরিমার্জন, সংশোধন, প্রয়োজনীয় গাইড লাইন, সার্কুলার ও আদেশ প্রণয়নের ক্ষেত্রে এনবিআর’র করনীতি শাখাকে সহায়তা করবে। সেই সঙ্গে এই সেল অন্যান্য দেশের কর এজেন্সি, সংস্থা, বিভাগ ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করবে। এ ছাড়া ট্রান্সফার প্রাইসিং সেলের বিধানাবলী নিশ্চিত করার জন্য এ সেল করদাতাসহ সকল স্টেক হোল্ডারকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন ও অর্থপাচার রোধে কাজ করবে বলেও এনবিআর সূত্রে জানা যায়।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের (সিআইসি) যুগ্মপরিচালক মো. শাব্বির আহমেদ বর্তমানে সেলের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (আন্তর্জাতিক কর) এর অধীনে ট্রান্সফার প্রাইসিং সেলের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ সেল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রশিক্ষণের বিষয়ে সমন্বয় করবে। এ জন্য ২ দিনের একটি প্রশিক্ষণ বুধবার শেষ হয়েছে বলেও এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।

(দ্য রিপোর্ট/এএইচএস/এপি/এনআই/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৪)