চট্টগ্রামে উন্মোচিত হলো বঙ্গবন্ধুর পোর্টে্রট মুর্যাল
চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বৃহৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পোর্টে্রট ম্যুরালটি উন্মোচন করা হয়েছে। বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ম্যুরালটির উদ্বোধন করেন।
একই সাথে মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি মিউজিয়াম ও সংগ্রহের দিক থেকে দেশের বৃহৎ ফিশারিজ মিউজিয়াম উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে নগরীর পাহাড়তলী খুলশীস্থ ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মিউজিয়াম দু’টি উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এনাটমি ও ফিশারিজ মিউজিয়ামে যেসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তা দেশের আর কোথাও নেই। এটি চট্টগ্রামের জন্য সম্পদ।
প্রায় ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর এ পোর্টে্রট ম্যুরালের উচ্চতা ১৫ ফুট এবং প্রস্থ ১০ ফুট। পোর্টে্রট ম্যুরাল হিসেবে এটি চট্টগ্রামের বৃহৎ ম্যুরাল। এটির প্ল্যাটফর্ম মার্বেল পাথর, শ্বেতপাথর ও গ্রানাইট দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধীনে উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে মিউজিয়াম দুটি স্থাপন করা হয়েছে। এনাটমি মিউজিয়ামে বিভিন্ন প্রাণীর প্রায় ৬০টি কঙ্কাল, ৩০টি স্ট্যাফ (প্রাণীর দেহাবশেষ থেকে চামড়া আলাদা করে নতুন অবয়ব সৃষ্টির পর পুনরায় চামড়া দিয়ে মোড়ানো), রাসায়নিক পদ্ধতিতে সংরক্ষিত বিভিন্ন প্রাণীর প্রায় ৫০০ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও সহস্রাধিক হাড়, প্রাণীর মডেল ও স্লাইড রয়েছে।
ফিশারিজ মিউজিয়ামে মোট ৪২৫ প্রজাতির মৎস্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সামুদ্রিক ২২৫ ও স্বাদু পানির ২০০ প্রজাতির মাছের নমুনা রয়েছে। স্বাদু পানির মাছের নমুনাগুলো ময়মনসিংহ, খুলনা, চাঁদপুর, পাবনা, সিলেটের হাওর অঞ্চল, কাপ্তাই লেক, হালদা ও কর্ণফুলী নদী থেকে সংগৃহীত। এছাড়াও ৩০টি শেল সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগৃহীত প্রজাতির দিক থেকে এটি বাংলাদেশের বৃহৎ ফিশারিজ মিউজিয়াম।
পরে শিক্ষামন্ত্রী চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাবর্ষ সমারম্ভ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
এ সময় তিনি বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রচলিত ও গতানুগতিক শিক্ষা দিয়ে এটি সম্ভব হবে না। তাই বিশ্বমানের শিক্ষা, জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হলো গবেষণা করা। গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী।
সমারম্ভ বক্তা হিসেবে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রবীণ শিক্ষক প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নুরুল আবছার খান, ফুড সায়েন্স এ- টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ডা. রায়হান ফারুক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও প্রক্টর প্রফেসর গৌতম কুমার দেবনাথ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, ইউএসটিসি’র উপাচার্য প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমামসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অভিভাবকবৃন্দ।
(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এনআই/জানুয়ারি ১১, ২০১৭)