খুলনা ব্যুরো : ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রীংলা বলেছেন, ‘খুলনায় সহকারি হাইকমিশনের অফিস খোলা হবে। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ অফিস খোলা হবে বলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভারতীয় ভিসা সহজীকরণের লক্ষ্যে সহকারি হাইকমিশনের এ অফিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্মেলন কক্ষে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, খুলনা ইতোমধ্যে পাট, চিংড়ি উৎপাদন ও জাহাজ নির্মাণের জন্য বিশেষভাবে সমৃদ্ধ। মংলা বন্দরের মাধ্যমে এ সকল পণ্য ভারতীয় বাজারে প্রবেশে সহজ হবে। ফলে ভারতের বিনিয়োগকারীরা দারুণভাবে আগ্রহী হবে।

শ্রীংলা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে প্রস্তাব দিয়েছি মংলা বন্দরের অবকাঠামো আধুনিকায়ন ও খানজাহান আলী বিমান বন্দর নির্মাণের জন্য। ইতোমধ্যে আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি মংলা একটি অন্যতম গ্রহণযোগ্য এলাকা। আর সেটি হবে ভারতীয় কোম্পানিগুলোর জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক জোন। বেশকিছু ভারতীয় কোম্পানি ইতোমধ্যে মংলার রফতানি প্রক্রিয়াজাত এলাকায় (ইপিজেড) গুরুত্বপূর্ণ শিল্প কারখানা স্থাপন করেছেন। টাটা মটর একটি এসেম্বল প্লান্ট স্থাপন করেছে যশোরে। মটরসাইকেল উৎপাদনের জন্য হিরো মটরসাইকেল ৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে যশোরে।

খুলনার ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীংলা বলেন, ব্যবসায়ীদের পণ্য আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে স্থলবন্দর সকাল ৮টা থেকে রাত রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার চেষ্টা করা হবে। তবে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও একইভাবে সহযোগিতার প্রয়োজন হবে।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজি আমিনুল হক। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ ও খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি গোপীকিষাণ মুন্ধড়া।

এর আগে রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রীংলা খুলনার ফুলতলা ও বাগেরহাটের মংলায় খুলনা-মংলা রেললাইন নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এপি/জানুয়ারি ১২, ২০১৭)