চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের বর্ধিকত সভাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে নগর বিএনপির কার্যালয়ের নাসিমন ভবনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দু’পক্ষ। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে।

এদের মধ্যে ইটের আঘাত এবং লাঠির আঘাতে টিপু ও ফোরকান ইকবাল নামে দুই জনের মাথা ফেটে যায়। গুরুতর আহত হয়েছে তসির মনির নামে একজন। এছাড়া হামলায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনির জামা ছিঁড়ে যায় ও আহত হন।

জানা গেছে, নবগঠিত উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল আবছার জুয়েল এবং সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনির উপস্থিতিতে নাসিমন ভবনের তৃতীয় তলায় উত্তর জেলা বিএনপির অফিসে সভা চলাকালে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। পরে নিচে মাঠে এসে পুলিশের উপস্থিতিতে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, লাঠি দিয়ে পিটুনি এবং পাথর নিক্ষেপ করে দু’পক্ষ।

প্রায় ২৫ মিনিট দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। এতে উত্তর জেলা কার্যালয়ে ব্যাপক চেয়ার টেবিল ভাঙচুর ও ভবনের ব্যাপক কাঁচভাংচুর চালায়। এ সময় দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে নীরব ভূমিকা পালন করে।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, ছাত্রদলের ছেলেরা নিজেরা নিজেরা মারামারি করেছে শুনেছি। এটি তাদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাই আমাদের পুলিশ সেখানে হস্তক্ষেপ করেনি।

উত্তর জেলা ছাত্রদলের বর্তমান কমিটি বিএনপি নেতা লায়ন আসলাম চৌধুরী এবং মীর হেলাল সমর্থিত বলে জানা গেছে। অপরদিকে বিরোধকারী প্রতিপক্ষরা গিয়াস উদ্দিন কাদেরের অনুসারী।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন বলেন, ছাত্রদলের দু’পক্ষে কোন বিরোধ হয়নি। সভাপতি সেক্রেটারির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নির্দেশে বর্ধিত সভা চলাকালে বহিরাগত উচ্ছৃঙ্খল যুবকরা হামলা চালিয়েছে। পরে আমাদের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করেছে। এতে ৭-৮ জন আহত হয়েছে।

উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি বলেন, বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের সমর্থিত বহিরাগত যুবকরা সভা চলাকালে হামলা চালালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করে। আমি উপর থেকে নামার সময় সিঁড়িতে পড়ে সামান্য আহত হয়েছি।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এপি/এনআই/জানুয়ারি ১২, ২০১৭)