রুদ্র আরিফ কাজ করছেন সংবাদমাধ্যমে। কবিতা লেখার পাশাপাশি ভালোবাসেন চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করতে। চলচ্চিত্র নিয়ে তার লেখা, অনুদিত ও সম্পাদিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘ফিল্মমেকারের ভাষা’ (৩ খণ্ড : ইরান, লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা), ‘ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো: প্রেম ও দেহগ্রস্ত ফিল্মমেকার’, ‘তারকোভস্কির ডায়েরি’ ও ‘আন্তোনিওনির সিনে-জগত’। প্রকাশিত দুটি কবিতার বই- ‘ওপেন এয়ার কনসার্টের কবিতা’ ও ‘র‌্যাম্পমডেলের বাথটাবে অন্ধ কচ্ছপ’। দ্য রিপোর্টের পক্ষ থেকে তার মুখোমুখি হয়েছেন ওয়াহিদ সুজন

এই বারের মেলায় কী কী বই আসছে?

দুটি বই এসেছে। ‘ফিল্মমেকারের ভাষা’ (কোরিয়ান পর্ব) বের করেছে ঐতিহ্য এবং ‘সিনেঅলা’ বের করেছে ভাষাচিত্র প্রকাশনী।

বইগুলো সম্পর্কে বলুন।

একটি বিশেষ অঞ্চলের ১০ মাস্টার ফিল্মমেকারের বিভিন্ন সময়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারের অনুদিত ও সম্পাদিত সিনে-গ্রন্থ সিরিজ ‘ফিল্মমেকারের ভাষা’। এর চতুর্থ খণ্ড প্রকাশিত হলো এবার। এবারের অঞ্চল দক্ষিণ কোরিয়া। ফিল্মমেকারদের মধ্যে আছেন কিম কি-দুক, লি চ্যাং দং, ইম স্যাং সু, পার্ক চ্যান উক প্রমুখ। যৌথ সম্পাদনায় রুদ্র আরিফ ও বিজয় আহমেদ। আর ‘সিনেঅলা’ হলো, সিনেমার ইতিহাসে প্রবল দাপট দেখানো ১০ মাস্টার ফিল্মমেকারের উপর একটি করে বিশদ গদ্য। ফিল্মমেকারেরা হলেন ডি ডব্লিউ গ্রিফিথ (আমেরিকা), আলেক্সান্দার দভচেংকো (ইউক্রেন), আলফ্রেড হিচকক (ইংল্যান্ড), লুই বুনুয়েল (স্পেন), ভিত্তোরিও দে সিকা (ইতালি), জ্যঁ ভিগো (ফ্রান্স), পিয়ের পাওলো পাসোলিনি (ইতালি), থিও অ্যাঙ্গেলোপোলোস (গ্রিস), ইলমাজ গুনে (তুরস্ক) ও গ্লাউবের রোসা (ব্রাজিল)।

বাংলাদেশে প্রকাশিত চলচ্চিত্র সম্পর্কিত বইয়ের মান নিয়ে বলুন। ভালোই তো মনে হয়!

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নিয়ে কোনো কাজ করার পরিকল্পনা আছে কী?

পরিকল্পনা করে কাজ করতে ভালো লাগে না আমার। ইচ্ছের উপর নির্ভর করে বিষয়টি।

বইমেলার স্থান সম্প্রসারণকে কিভাবে দেখছেন।

ভালো তো! দম ফেলা যায়।

(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/এএল/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৪)