দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাঁচা-মরার ম্যাচে বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর ১টায় শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সিরিজে টিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প নেই মুশফিকদের সামনে। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে বাংলাদেশ তার সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মাঠে নামবে। আর এ কারণে দলে দেখা যেতে পারে একাধিক পরিবর্তন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দলে ফিরতে পারেন ওপেনার তামিম ইকবাল, দলের সেরা পেসার মাশরাফি বিন মতুর্জা ও অলরাউন্ডার নাঈম ইসলাম। অন্যদিকে প্রথম ওয়ানডের স্কোর থেকে বাদ পড়তে পারেন এনামুল হক বিজয়, আল-আমিন হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

১৮০ রানে অতিথি দলকে আটকে দেওয়ার পরও জয় বঞ্চিত বাংলাদেশ তাদের সেরা দল ও সেরা খেলা খেলার প্রত্যয় নিয়েই মাঠে নামবে। অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে শামসুরের কথায় তা স্পষ্ট ছিল। সংবাদ সম্মেলনে তিনি তামিম-মাশরাফির সুস্থ হওয়ার বিষয়টি বললেও তাদের খেলার সম্ভাবনার কথা বলেননি। তবে জানা গেছে, প্রথম ওয়ানডেতে এনামুল হক বিজয়ের পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ার ওপেনিংয়ে পরিবর্তন প্রায় নিশ্চিত। টিম ম্যানেজম্যান্ট শক্তিশালী ব্যাটিং কম্বিনেশনের লক্ষ্যে তামিম ইকবালকে দলে অন্তর্ভূক্ত করতে পারে। এ ছাড়া আল-আমিন হোসেনের পরিবর্তে দলে সুযোগ পেতে পারেন দেশ সেরা ওপেনার মাশরাফি বিন মতুর্জা। তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে দলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বদলী হিসেবে মাঠে দেখা যেতে পারে নাঈম ইসলামকে। সেক্ষেত্রে উইকেটের পেছনে দাঁড়াতে হতে পারে অধিনায়ককে। দ্বিতীয় টেস্টে বা হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলে চোট পেয়ে টোয়েন্টি২০ সিরিজ খেলতে পারেননি মুশফিক। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক উপেক্ষিত ছিলেন প্রথম ওয়ানডেতে। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দরজা প্রায় খোলাই তার জন্য।

মাহমুদউল্লাহ বাদ পড়লেও আরেক ব্যর্থ ক্রিকেটার সোহাগ গাজীকে টিম কম্বিনেশনের কথা মাথায় রেখে দলে অন্তর্ভূক্ত করা হতে পারে। জয়ের ক্ষুধা নিয়ে বাংলাদেশ দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে এটা শামসুরের কথায়ও স্পষ্ট ছিল। সতীর্থদের প্রতি তার আহ্বান ছিল ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং ৩টি বিভাগেই সেরাটা দেওয়ার। তিনি আরো বলেছেন, ‘সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে হলে আমাদের জিততেই হবে। আমাদের এখন শুধু সেদিকেই মনোযোগ। ছোট-খাটো ভুল না করলে আর ভাগ্যের একটু সহায়তা পেলে আমাদের জেতার সামর্থ্য আছে।’

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অতিথিদের কোনো সুযোগ দিতে নারাজ সাকিব-তামিমরা। তাই তো প্রস্তুত বাংলাদেশের রণতরী। তবে বসে নেই শ্রীলঙ্কানরাও। বিরতির দুইদিনই অনুশীলন করে ঘাম ঝড়িয়েছেন তারা। শ্রীলঙ্কান কোচের বিশ্বাস তার দলের ক্রিকেটাররা সঠিক সময়ে সঠিক প্রতিরোধ ক্ষমতা পরের ম্যাচগুলোতেও দেখাতে পারবে। শ্রীলঙ্কার কোচ পল ফারব্রেসে বলেছেন, ‘টোয়েন্টি২০ মতো ওয়ানডেতেও থিসারা পেরেরা দলকে টেনে তুলেছে। আশা করছি পরের ২ ম্যাচে তাকে আর দলকে টেনে তুলতে হবে না।’ শ্রীলঙ্কা দলে পরিবর্তন না আসারই ইঙ্গিত দিয়েছেন অফস্পিনার সচিত্রা সেনানায়েকে। সোমবারের হতাশা ভুলে পরের ২ ম্যাচে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে ভালো পারফরম্যান্স আশা করছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের কাছে সর্বশেষ দেশের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-২ ও নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে মুশফিকরা।

(দ্য রিপোর্ট/আরআই/ওআইসি/এসকে/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৪)