মাদারীপুর প্রতিনিধি : বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীন বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এতে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তৌফিকুজ্জামান শাহীন বেপারী ৬৪ হাজার ৩৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী কর্নেল (অব.) বজলুর করিম সেলিম ২১ হাজার ৮৮ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাজী মাহমুদুল হাসান দোদুল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাজী নাসরীন এগিয়ে রয়েছেন।

বেলা আড়াইটার দিকে দক্ষিণ জনারদন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে জালভোটের সহায়তা করার সময় সেনাবাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে শাহীন হোসেন নামে একজন আওয়ামী লীগ সমর্থককে আটক করে পুলিশ।

স্বতন্ত্র প্রার্থী বজলুর করিম সেলিম অভিযোগ করেন, দক্ষিণ জনারদন্ডি, পাঙ্গাসিয়া, রমজানপুর, দক্ষিণ রাজদীসহ অধিকাংশ ভোটকেন্দ্র আওয়ামী লীগ দখল করে নিয়ে জালভোট প্রদান করে। এ ছাড়া অনেক কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি, আবার অনেক কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার এইচ এম গোলাম মোস্তফার কাছে অভিযোগ দায়ের করবেন কি না- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ করে কী হবে। কিছুই হবে না। এরপরও দেখি।

এবারের নির্বাচনে কালকিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তৌফিকুজ্জামান শাহিন (মোটরসাইকেল), অধ্যাপিকা তাহমিনা সিদ্দিকী (ঘোড়া) এবং কর্নেল (অব.) বজলুর করিম সেলিম (আনারস) মার্কা নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তাহমিনা সিদ্দিকী পরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

বিভিন্ন কেন্দ্রে জালভোট প্রদান প্রসঙ্গে রাজৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হায়াত উদ দৌলা বলেন, জালভোট দেওয়ায় সহযোগিতা করার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল হাই এর প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

(দ্য রিপোর্ট/এসএইচটি/এমএআর/এএল/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৪)