খুলনা ব্যুরো : খুলনা মহানগরীর শেরে বাংলা রোডের আমতলা মোড় এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে চিত্তরঞ্জন বাইন (৪৫) নামের এক কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে খবর পেয়ে খুলনা থানা পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা সেখান থেকে লাশটি উদ্ধার করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে মরদেহের সুরতহাল তৈরি ও বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন।

নিহত কলেজ শিক্ষক খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার কৈয়া এলাকার শহীদ শেখ আবু কাশেম স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।

নিহত চিত্তরঞ্জন বাইনের ভাইপো বাপী বাইন জানান, নগরীর শেরে বাংলা রোড আমতলার মোড়ে অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মো. আব্দুল মজিদের বাড়ির প্রথম তলায় ভাড়া থাকেন চিত্তরঞ্জন বাইন। তার জ্যাঠিমা লাকী গোলদার এক সপ্তাহ আগে পিতার বাড়ি বটিয়াঘাটা উপজেলার ঝড়ভাঙ্গা গ্রামে বেড়াতে যান। এ সময় লাকী গোলদার তার দুই মেয়ে প্রমা (৮) ও ৬ মাস বয়সী মেয়ে প্রাপ্তিকেও সাথে নিয়ে যান। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে ঘরে একা ঘুমিয়ে ছিলেন শিক্ষক চিত্তরঞ্জন বাইন। ওই দিন রাতের যে কোন সময়ে দুষ্কৃতকারীরা জানালার গ্রীল কেটে ঘরে ঢুকে চিত্তরঞ্জনের হাত-পা ও মুখ বেঁধে তাকে হত্যার পর স্টিলের আলমারি ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।

রবিবার বেলা ১১টার দিকে তার স্ত্রী লাকি গোলদার চিত্তরঞ্জনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা রিসিভ হয়নি। এ ঘটনায় লাকী দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে তার শ্বশুর রতন গোলদারকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে রতন গোলদার সেখানে গিয়ে চিত্তরঞ্জনকে ডাকাডাকি করলে ভিতর থেকে কোন সাড়া না পেয়ে ঘরের আশেপাশে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে দেখতে পান ঘরের জানালার গ্রীল কাটা। পরে প্রতিবেশী লাইলী নামে মেয়ে কাটা জানালা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে দরজা খুলে দেয়। সেখানে দেখা যায় চিত্তরঞ্জন বাইন তার শয়নকক্ষে খাটের ওপর মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।

খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক তাপস পাল বলেন, নিহত চিত্তরঞ্জনের দুই হাত, দুই পা ও মুখ বেঁধে ফেলে রাখে দুষ্কৃতকারীরা। চিত্তরঞ্জনের মাথার ডান পাশে ও ডান পায়ে ভারি কোন বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তার মাথা ও পায়ে আঘাতে রক্ত জমে থাকার চিহ্ন দেখা গেছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচএ/এনআই/জানুয়ারি ১৫, ২০১৭)