দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের প্রস্তাব খালেদা জিয়া কি অশ্রাব্য, নোংরা ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছিলো, এটা আমরা ভুলে যাইনি। এখন সংলাপের কথা বলছেন, সেই দিন কেন সংলাপ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন? এ প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে সংলাপের পরিবেশ নষ্ট করেছেন।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমিতে চিত্রশালা মিলানয়তনে খণ্ড চিত্র প্রর্দশনীর শেষে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

দুই দিন ব্যাপী ‘বিএনপি-জামায়াতের বর্বরোচিত তাণ্ডব ও অগ্নি সন্ত্রাসের’ খণ্ড চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা পরিষদ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সব সমস্যার সমাধান হবে সংবিধান অনুযায়ী। সংবিধানে যদি সংলাপের কোনো সুযোগ থাকে, তাহলে গণতন্ত্রের জন্য সংলাপ হবে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, ‘যারা দুই নেত্রীকে সংলাপে বসাতে চান, তাদেরকে বলবো, ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট কিংবা পুত্র শোকে শোকাহত মা খালেদা জিয়াকে সমাবেদনা জানাতে গিয়ে শেখ হাসিনার ফিরে আসা, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার কথা স্মরণ করুন। এখন যে বিষয়ে সংলাপ তা নিয়ে তো রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ করেছে বিএনপি। তাহলে আবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কিসের সংলাপ।’

সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে আগামী নির্বাচন হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ‘পুত্র শোকে শোকাহত মাকে দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর খালেদা জিয়া ঘরের দরজা বন্ধ করে রেখে ছিলেন। ঘরের দরজা বন্ধ করে সংলাপের দরজা বন্ধ করেছিলেন।’

৫ জানুয়ারি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার বিষয়ে তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না করেন, তাদের আগুন সন্ত্রাসে পঙ্গু হওয়া মানুষের আহাজারি, আর্তনাদের জবাব দেবে কে? গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য মায়াকান্না করছেন, নাকি গণতন্ত্র হত্যার জন্য মায়াকান্না করছেন?

কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের বিষবৃক্ষটি কিন্তু অনেক শাখা প্রশাখা বিস্তার করেছে। এই বিষবৃক্ষকে রাতারাতি উপরে ফেলা সম্ভব নয়। উপরে ফেলতে হলে সকল বাঙালীর আস্থার প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। খন্ড খন্ড ভাবে সম্ভব নয়।’

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- বিএফইউজের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এনামুল হক শামীম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

৫ জানুয়ারি নির্বাচন পরবর্তী সংহিংসতার শিকার মাইসা খাতুনের মা মারুফা বেগম, নায়েক দুদু মিয়া, পিয়ারুল ইসলাম, পটল মিয়া, রেজাউল করিম, মিষ্টি মিয়া ও অমল চন্দ্র রায়। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদের আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়।

তাদেরকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনাদের পঙ্গুত্ব নিয়ে আমরা রাজনীতি করতে চাই না। আমরা মানবিক দিকটাকেই গুরুত্ব দিচ্ছি, দিব।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচ/এআরই/এনআই/জানুয়ারি ১৬, ২০১৭)